কুমিল্লা মহানগরীর জাঙ্গালীয়া আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে প্রবেশের সময় বাসের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যাওয়া হোন্ডারোহী এক আ’লীগ নেতার পুত্র ও তার সহযোগীদের হাতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট বাস চালক জসিমকে প্রহারসহ ৭/৮ বাস, বাস কাউন্টার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় ৮/১০ জন যাত্রী আহত হয়। উত্তেজিত শ্রমিকরা তখন সড়কে ব্যারিকেড দিলে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
স্থানীয় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লা মহানগরীর জাঙ্গালীয়া আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে প্রবেশের সময় দোয়েল পরিবহনের একটি বাসের সাথে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ আ’লীগ নেতা ফিরোজ মিয়ার ছেলে তুহিনের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে রবিন মাটিতে পড়ে যায়। এরপর সে ও তার সাথে থাকা দু’সহযোগী মিলে বাস চালক জসিমকে বেদম প্রহার করে চলে যায়। এরপর প্রায় ২০ মিনিট পর রবিন আবারো হকিষ্টিক ও লাঠিসোঠাসহ তার ১৫/২০ সহযোগী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে দোয়েল ও শাহ আলী পরিবহনের ৬/৭ টি যাত্রীবাহী কবাসে হামলা চালায়। এতে আতœরক্ষা করতে গিয়ে ১৫/২০ জন যাত্রী আহত হয়। সন্ত্রাসীদের হাতে এসময় ৭/৮টি বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। তখন টার্মিনালের শ্রমিকদেও মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে তারা টার্মিনাল এলাকায় ব্যারিকেড দেয়। স্থানীয় সুত্র জানায়, ভাংচুর হওয়া বাসগুলোর মধ্যে সিলেট-জ-০৪-০০৫৭ ও ঢাকা-মেট্রো-জ-১৪-২২০০ নম্বরের বাস ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় ইপিজেড ফাঁড়ির আইসি আজিজুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে শ্রমিকদের হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে প্রায় এক ঘন্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় আবারো যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এব্যাপারে ইপিজেড ফাঁড়ির আইসি আজিজুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,বেশ কয়েকটি গাড়ির গ্লাস ভাংচুর হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন