শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

চট্টগ্রাম বন্দরকে গতিশীল করতে মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে

প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ১২৯ বছর পেরিয়ে আজ (সোমবার) ১৩০ বছরে পদার্পণ করলো দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম। এ উপলক্ষে গতকাল (রোববার) বিকেলে বন্দর দিবসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম বিবেচনা করে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের দিক নির্দেশনায় বন্দরের কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারণ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে স্ট্রাটেজিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে ২০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডেল করে ‘টু মিলিয়নস ক্লাবে’ প্রবেশ করার মধ্য দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ১৩০ বছরে পা রাখলো চট্টগ্রাম বন্দর। ১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল যখন দেশের এই প্রধান সমুদ্র বন্দরের যাত্রা শুরু হয় তখন এর টার্গেট ছিল বছরে ৫০ হাজার টন পণ্য হ্যান্ডলিং। কিন্তু ১৩০ বছরে এসে বন্দরটি হ্যান্ডলিং করছে ৭ কোটি মেট্রিক টনেরও বেশি পণ্য। চট্টগ্রাম বন্দরের এখন টার্গেট হচ্ছে ৫৬ লাখ টিইইউএস (২০ ফুট দীর্ঘ) কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা। ৩০ বছর মেয়াদি চলমান মাস্টারপ্ল­্যানে ২০৩৬ সালের আগেই এ টার্গেট বাস্তবায়ন স্থির করা হয়েছে।
মাস্টারপ্ল্যানে চট্টগ্রাম বন্দরের ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ৫টি অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে-২০১৭ সাল নাগাদ প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্টের সংস্থাসহ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা, ২০২০ সাল নাগাদ কর্ণফুলী টার্মিনাল নির্মাণ করে অপারেশনে আনা, ২০২৩ সাল নাগাদ বে-টার্মিনালের প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করে চালু করা, ২০২৪ সাল নাগাদ জিসিবি’র ১-৯ জেটিতে মাল্টি পারফাস টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন করে চালু করা এবং ২০২৮ সাল নাগাদ বে-টার্মিনালের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে চালু করা। এ বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে এবং সহযোগী হিসেবে আরও ১২টি প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে ভবিষ্যতে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে যাতে সমস্যা না হয়। এগুলোর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণেরও বেশি হবে।
তিনি বলেন, সকল বাধা ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বাড়ছে সক্ষমতা। হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হচ্ছে নতুন সরঞ্জাম। বন্দর সুরক্ষিত করতে সংরক্ষিত এলাকায় বাড়ানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা। জাহাজ আগমন ও প্রস্থান কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় করতে স্থাপন করা হয়েছে ভিটিএমআইএস (ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম)। কনটেইনার খালাস কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় করতে যুক্ত হয়েছে সিটিএমএস (কনটেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) প্রযুক্তিও। এই সিস্টেমকে আরও আধুনিক করে বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্দর এগিয়ে যাওয়ায় নৌপথে সমুদ্র বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দরে বছরে পাঁচ থেকে ১০টি জাহাজ এলেও গত বছর এ বন্দরে নোঙর করেছে দুই হাজার ৭৩০টি জাহাজ।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম ও বন্দর সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) ক্যাপ্টেন শাহিন রহমান প্রমুখ। ১২৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন