মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

প্লাস্টিক বস্তায় চাল বিপণন বন্ধ হয়নি

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

চাল ও ধান বাজারজাতকরণে পাটের বস্তা ব্যবহারে সরকারের আইন মানছেন না নীলফামারীর সৈয়দপুরের ব্যবসায়ীরা। যদিও ধান ও চাল বাজারজাতকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর সরকারের কড়া নির্দেশ রয়েছে ওই দুটি পণ্যের মোড়কে কোন প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। কিন্ত তারপরও প্লাস্টিকের বস্তায় অবাধে পণ্য বাজারজাত করছেন তারা। মূলত প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাবে চাল কল ও বাজারগুলোতে ক্ষতিকর প্লাস্টিক ব্যাগ ফের ফিরে এসেছে। ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনকে দিন ।

গতকাল সৈয়দপুর শহরের প্রধান চাল আড়ৎ ও অন্যান্য বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানে ক্ষতিকর প্লাস্টিকের বস্তায় চাল বিক্রি করা হচ্ছে। প্রায় সব বাজার ও আড়তে দেখা যায় একই অবস্থা। মার্কেটের দোকান থেকে উধাও হয়ে গেছে পাটের বস্তা। তবে গত বছর প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে মার্কেটের দোকানগুলো ফিরে আসে পাটের বস্তা। কিন্তু প্রশাসনের ধারাবাহিক নজরদারি না থাকায় মার্কেটগুলো ফের প্লাস্টিকের বস্তা সয়লাব হয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে পাটের বস্তার দাম ৪৫-৫০ টাকা। অন্যদিকে একই ওজন বহনে সক্ষম প্লাস্টিকের বস্তা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় মাত্র ১৫-২০ টাকায়। ফলে এক শ্রেণীর অসাধু চাল ব্যবসায়ীরা মুনাফার লোভে অবৈধ প্লাস্টিক ব্যাগ অবাধে ব্যবহার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের চালের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, চাল কল ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিকের বস্তায় চাল সরবরাহ করায়, তাদের সেই বস্তাতেই চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। বিষয়টি তাদের হাতে নেই। জানতে চাইলে, সৈয়দপুর শহরের চালকল মালিক রেজাউল ইসলাম রেজু জানান, সরকারের যেহেতু নির্দেশ আছে, আমরাও নির্দেশ মানতে বাধ্য। তবে ঢালাওভাবে সবাই এ কাজ করেন না। প্লাস্টিকের বস্তা বাজারে যেমন সহজে পাওয়া যায়, পাটের বস্তা সহজে পাওয়া যায় না। দামও বেশি। তাই সরকারকেও এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।
এদিকে, শহরের পাটকল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকারে নির্দেশ কার্যকর করতে আমরা সর্বনিম্ন দামে পাটের বস্তা তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করছি। চাল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করছে। তাদের বক্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।তারা পাট শিল্প বাঁচাতে এবং আইন পালন করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কুমার সরকার জানান, বিগত সময়ে পাট অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।
সেই সময় ব্যবসায়ীরা সময় নেয়ায় তাদের সময় দেয়া হয়েছিল।
বর্তমানে ওই সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন কেউ আইন অমান্য করলে শিগগিরিই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন