ব্রেনের চারদিকে একটি আবরণ থাকে। এর নাম মেনিনজেস। মেনিনজেসের ৩টি স্তর থাকে। বাহির থেকে ভিতরে ডুরাম্যাটার, এরাকনয়েড ম্যাটার এবং পায়া ম্যাটার। নামগুলো যারা মেডিকেলের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় তাদের একটু বিদঘুটে লাগবে। সাবডুরাল এমপায়েমাতে ডুরা ম্যাটারের নিচে পুঁজ জমা হয়। অন্যদিকে ব্রেনের ভেতর পুঁজ জমা হলে তাকে বলে সেরেব্রাল এবসেস। সাবডুরাল এমপায়েমার চেয়ে সেরেব্রাল এবসেসই অনেক বেশী রুগীর দেখা যায়।
আমাদের মুখের চারিদেক বিভিন্ন বায়ুপূর্ণ অস্থি থাকে। এদের মধ্যে ইনফেকশন হলে তাকে সাইনুসাইটিস বলে। সাইনুসাইটিস থেকে জীবাণু মাথায় যেয়ে সারডুরাল এমপায়েমা তৈরি করতে পারে। বিভিন্ন জীবাণু দিয়ে সাবডুরাল এমপায়েমা হয়। এর মধ্যে আছে স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়া, স্ট্রেপটোকক্কাস মিলেরি, স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস ইত্যাদি।
সাবডুরাল এমপায়েমাতে বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। এর মধ্যে আছে-
১। জ্বর
২। অস্বস্তি
৩। মাথাব্যথা
৪। বমি
৫। খিচুঁনি
৬। সাইনুসাইটিসের সমস্যা
৭। কথা বলতে সমস্যা হওয়া ইত্যাদি।
সিটিস্ক্যান করে সাবডুরাল এমপায়েমা ডায়াগনসিস করা যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিটিস্ক্যান করেও ভালভাবে বোঝা যায়না।
সাবডুরাল এমপায়েমাতে প্রথমে পুঁজ বের করে ফেলা হয়। তারপর এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়। সঠিক চিকিৎসার পরেও কিন্তু ২০% রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন