পাবনায় বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একমাত্র নারী সাংবাদিক সুবর্ণা নদী হত্যার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা এজাহার নামীয় আসামী তাঁর সাবেক স্বামী । পুলিশ সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর সাবেক শ্বশুর শিল্পপতি আবুল হোসেন এবং তাঁর ইন্ড্রাল কোম্পানীর কর্মচারী মিলন ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। জনমানুষ এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত মোটিভ জানতে চান। শোণিত ঝরিয়ে যে সাংবাদিক মানুষের কাছে সহানুভূতি লাভ করছেন , তাকে নিয়ে পুলিশের ঢিলেঢালা চলা ও অজানা কারণেই যেন সব থেমে আছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও পুলিশ এ কথা মানতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, তাদের কার্যক্রম চলছে। পাবনার নবাগত ডিবি’র ওসি ইসলাম হোসেন গত শনিবার ইনকিলাবের এই স্টাফ রিপোর্টারকে জানান, সাংবাদিক সুবর্ণা নদী হত্যায় ২ জন অভিযুক্তকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর সাবেক স্বামী রাজিবকে গ্রেফতারের আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। খুব শিগগিরই তাকে আটক করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। সুবর্ণা নদী হত্যা মামলা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন , এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তা ইতোপূর্বে জানিয়ে ছিলেন, আবুল হোসেনকে ৩ দিনের এবং তাঁর কর্মচারী মিলনকে একদিনের রিমান্ড নেওয়া হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। যা নদী হত্যার মোটিভ উদঘাটনে সহায়ক হতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এর মধ্যে দুদক আবুল হোসেন, তাঁর পুত্র রাজিব ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ বিষয়ে মামলা করায় রাজিব আরও আত্মগোপনে চলে যেতে পারেন। তাকে গ্রেফতার করা পুলিশের জন্য কষ্টকর হতে পারে। তবে পুলিশের নবাগত ডিবি ওসি বলছেন, কষ্ট একটু হতেই পারে, তবে গ্রেফতার এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এদিকে, দুদকের আপত্তি থাকা সত্বেও জেলে শিল্পপতি আবুল হোসেনের একাউন্ট থেকে ৬ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট-এর অনুমতি নিয়ে চেক সাক্ষরের জন্য পাঠানো হয়। দুদক আবুল হোসেন, তাঁর স্ত্রী ও পুত্রের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত মামলা দায়ের করেছে। এই ৬ কোটি টাকার চেক সাক্ষরের ব্যাপারে জানা গেছে, তার ডায়গনেস্টিক সেন্টার শিমলা ও অন্য কোম্পানী অর্থ সমন্বয় ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ইত্যাদি অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় এই চেক সাক্ষর করে টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন