শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

একের পর এক আফটার শকে ধসে পড়েছে ঘরবাড়ি, নিহত বাড়ছেই

নিহত-আহতদের রাখা হয়েছে খোলা মাঠ ও রাস্তায়, সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয়েছে। এদিকে, বড় ভূমিকম্প ও সুনামিতে দ্বীপটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩২-এ দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অসংখ্য। এ ছাড়া, নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। নিহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকেই দ্বীপের রাজধানী পালু শহরে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাসপাতালগুলোও। ফলে নিহতদের লাশ খোলা মাঠ ও রাস্তায় রাখা হয়েছে। আর আহতদেরও রাস্তায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর পালু বিমানবন্দরে এক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার মারা গেছেন। তবে ওই সময় ভূমিকম্প সত্তে¡ও একটি বিমান নিরাপদ উড্ডয়ন করেছে বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। ভূমিকম্পে দ্বীপটিতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর শনিবার একের পর এক আফটার শক অনুভূত হয়েছে। আফটার শকগুলো বেশ শক্তিশালী ছিল। আফটার শকে নতুন করে ঘরবাড়ি-স্থাপনা ধসে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ এখনো ওই দ্বীপের বাসিন্দাদের বাসার বাইরে থাকতে বলেছেন। যেকোনো সময় আবার আফটার শকে বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন তারা। মার্কিন ভূতাত্তি¡ক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার একটু আগে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। অপর দিকে, ভূমিকম্প ও সুনামিতে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মুখপাত্রের মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্প ও সুনামিতে নিহতদের পরিবার ও সে দেশের সরকারকে সমবেদনা জানিয়েছেন গুতেরেস। জাতিসংঘ সেখানকার উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র সুতপো পারু নাগরোহো জানিয়েছেন, সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী পালু, ডোঙ্গালা ও অন্যান্য কয়েকটি উপকূলীয় এলাকায় তিন মিটার উচ্চতার সুনামি আছড়ে পড়েছে। উদ্ধারকারী দল ওই সব এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় অবস্থিত। বলা হয়, এটি ‘রিং অব ফায়ার’ এর ওপর অবস্থিত। ‘রিং অব ফায়ার’ হলো ঘন ঘন ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের লাইন যাকে কেন্দ্র করে পুরো প্রশান্ত বৃত্ত ঘূর্ণায়মান। ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে সাগরে ভূমিকম্পের পর এক সুনামিতে ভারতীয় মহাসাগরের আশপাশের দেশে প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার লোক নিহত হয়। এর মধ্যে শুধু ইন্দোনেশিয়াই মারা যায় ১ লাখ ২০ হাজার লোক। ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার সুলাবেসি দ্বীপে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। শহরটিতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের বসবাস। সেখানে কম্পনের পর ছোট্ট শহর পালুতে আছড়ে পড়ে প্রলয়ঙ্করী সুনামির ঢেউ। সুউচ্চ ঢেউ লণ্ডভণ্ড করে দেয় উপকূলীয় এলাকা। শুক্রবারের কম্পন ও সুনামির পর শনিবার উপকূলে সন্ধান মিলেছে বহু লাশের। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Noor Alam ১ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:০০ এএম says : 0
আললাহ্ তোমার বান্দাদের হেফাজত করো, আমিন
Total Reply(0)
Tareq ১ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:০০ এএম says : 0
আল্লাহ তুমি হেফাজত করো
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন