রাজধানীর থানার হাজতগুলোতে বন্দিদের জায়গা হচ্ছে না। বুধবার রাত কদমতলী থানা হাজতে দেখা গেল ধারণ ক্ষমতার ২/৩ গুণ বন্দি। একজন পুলিশ জানান, থানা হাজতে ২৫/৩০ জন বন্দি ধারণ ক্ষমতা থাকলেও এখন দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি রাখা হচ্ছে। আটককৃতদের কেউ রাজনৈতিক কর্মী, কেউবা নিয়মিত আসামী, কেউ জুয়ারী। তবে রাজনৈতিক কর্মী বা বিএনপি-জামায়াত কর্মী সমর্থকই বেশী।
থানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেল, আটককৃত একজন বয়োবৃদ্ধের স্বজনরা জানান, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নন। পুলিশের এক সোর্স টাকা চেয়েছিল। দিতে অস্বীকার করায় তাকে জামায়াত সমর্থক বানিয়ে আট করা হয়েছে।
সন্ধ্যার পর রাজধানীর প্রায় প্রতিটি থানার হাজতখানার একই চিত্র। পুরান ঢাকার শ্যামপুর, গেন্ডারিয়া, সুত্রাপুর, বংশাল, ওয়ারী, কোতয়ালী, চকবাজার থানায় গত এক সপ্তাহ ধরে একই চিত্র।
বুধবার বেলা ১টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার হাজতখানার সামনে পানির বোতল আর কিছু খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন রহিম নামে এক ব্যক্তি। বললেন, আমার ভাইকে পুলিশ রাতে ধরে নিয়ে এসেছে। পুলিশ বললো, সে নাকি পার্টি করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন