স্টাফ রিপোর্টার : সম্মেলনের চার বছর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে বিভক্ত করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। একই দিন ঢাকার সবগুলো থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মহানগর কার্যনির্বাহী কমিটি ও থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো ঘোষণা হয়নি।
মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটিতে কারা আসছেন তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। পদপ্রত্যাশী নেতারা ছুটছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে।
মহানগর দক্ষিণে আবুল হাসনাতকে সভাপতি ও শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। অপরদিকে মহানগর উত্তরে এ কে এম রহমতউল্লাহ এমপিকে সভাপতি ও সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী মাসেই মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। পূর্ণাঙ্গ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। অবিভক্ত মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ছাত্রলীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা, মহানগরের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কয়েকজন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।
জানা গেছে, মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বর্তমান সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট, যুবলীগ উত্তরের সভাপতি মাইনুল ইসলাম খান নিখিল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম সরোয়ার কবির, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ শুভ্র, স্বেচ্ছাসেবক লীগ দক্ষিণের বর্তমান সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস, উত্তরের সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবাশ্বের চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরানকে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটিতে দেখা যেতে পারে। আসলামুল হক এমপি, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সাবিনা আকতার তুহিন এমপি, আওলাদ হোসেন, ডা: দিলীপ রায়, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, আব্দুল মান্নান কচি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন। মহানগরের সাবেক সহসভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, মুকুল চৌধুরী, ফয়েজউদ্দিন মিয়াসহ প্রবীণ নেতাদের উপদেষ্টা পরিষদে দেখা যেতে পারে।
আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, আমাদের নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই চাইবেন, তখনই কমিটি ঘোষণা করা হবে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়েই দক্ষিণের কমিটি হবে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী সবসময়ই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দেন। এর প্রমাণ ইতোমধ্যেই তিনি দিয়েছেন।
তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দায়িত্ব দিয়ে সম্মানিত করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন