অনাবৃষ্টি ও পোকা মাকড়ের আক্রমণে পড়েছে ঝিনাইদহে রোপা আমন চাষ। বর্ষার ভরা মৌসুমে কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষেতে ঘাসের উপদ্রুপ বেড়েছে। সব মিলিয়ে রোপা চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সেচযন্ত্রের সাহায্যে ক্ষেতে পানি দিতে হচ্ছে। ফলে এবার লোকসানও গুনতে হতে পারে কৃষকদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার ৬ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আমন ক্ষেতের মাঠগুলো ফেঁটে চৌচির হয়েছে গেছে। রোপা আমনের এই বাড়ন্ত সময়ে পানির অভাবে ফসলে দেখা দিচ্ছে নানা প্রকারের রোগবালাই। অনেক চাষি ফসল রক্ষায় সম্পুরক সেচ দিচ্ছে। তাতেও উপকার হচ্ছে না। এলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ধানের গাছ থেকে থোড় গজানোর সময় এখন। প্রয়োজন প্রচুর পরিমান বৃষ্টির। কিন্তু বৃষ্টির দেখা মিলছে না। বৃষ্টিপাতের অভাবে রোপা আমন ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার চাষীরা। জেলার অধিকাংশ জমির পানি শুকিয়ে গেছে। যেসব এলাকায় সেচ দেওয়া শুরু হয়নি, সেসব এলাকার ধান গাছ মাঠের পর মাঠ মরে যাচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় জমিতে সেচের পানি দেওয়া হচ্ছে। তাতেও খুব একটা উপকার হচ্ছে না। সেই সাথে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রকমের রোগবালাই। এ অবস্থায় সম্পূরক সেচ দিতে অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। এতো কষ্টের পর ফলন কম ও লোকসানের আশঙ্কায় দিন কাটছে কৃষকদের। সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামের কৃষক জামিরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধানে থোড় বের হলে বিভিন্ন পোঁকা-মাকোড় লাগবে যে কারণে ধানে বেশীর ভাগ চিটা হবে। মাঠে এখন পুরোপুরিভাবে সেচ দিয়ে ধান গাছের গোড়ায় পানি রাখতে হচ্ছে। মধুপুর গ্রামের কৃষক হাফিজ উদ্দীন জানান, এখনতো আর বৃষ্টি হবে না। যার কারণে আমরা সেচ পাম্প চালাচ্ছি। এতে অনেক তেল ও বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। বৃষ্টির পানি ছাড়া এই ধান ভাল হয়না বলে ওই কৃষক জানান। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জি এম আব্দুর রউফ বলেন, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে ১ লাখ ২’শ ৫০ হেক্টর জমিতে। রোগবালাই রোধে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানান ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ অনুযায়ী কৃষক সঠিকভাবে চাষাবাদ করলে আশা করছি ফলন কম হবে না তারপর ও এই ধান চাষ বেশীর ভাগ বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন