পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, বৈশাখী টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার, কলামিস্ট , হাবিবুর রহমান স্বপন (৬০) দুর্বৃত্তদের হামলার গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় পাবনা প্রেসক্লাব থেকে শহরের কফিল উদ্দিন পাড়ায় তার ভাড়া বাসায় রিকাশায় চড়ে ফেরার পথে চারতালার নিকটববর্তী সেবা হাসপাতালের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে বহনকারী রিকশাটি
সেবা হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা হেলমেট পরিহিত একটি মোটর সাইকেলে তিনজন আরোহী রিকশার গতিরোধ করে এবং তাকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে। এতে তার মাথায় ফেটে যায় এবং বাম হাত ভেঙ্গে যায়। চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে পাবনায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ ও তদন্ত) গৌতম কুমার বিশ্বাস সহ পুলিশের কর্মকর্তা ও র্যাব- ১২, সিপিসি-২ একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন । তারা হাসপাতালে আহত সাংবাদিকের খোঁজ-খবর নেন । পরে রাত দেড়টায় কলাম লেখক ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনকে শনিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের কতর্ব্যরত ডাক্তার অমিত কুমার সরকার জানান, আহত সাংবাদিকের মাথায় আঘাত ,বাম হাত ভেঙ্গে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, কারা, কি কারণে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনের উপর হামলা করেছে তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। তবে হামলাকারীদের ধরতে কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ রবিবার পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে পাবনা প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং পাবনাং কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অনতি বিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান । প্রসঙ্গত: প্রায় দেড় মাস আগে সাংবাদিক সুবর্ণা নদী দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন। পাবনায় সাংবাদিকদের উপর হামলা-হত্যার ঘটনায় শুধু সাংবাদিকদের মধ্যে নয় সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীন অবস্থা বিরাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন