রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা শেখ হাসিনার সরকারকে মাইনাস করার প্রস্তাব

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন,৭ দফা প্রস্তাব নিয়ে যারা একত্রিত হয়েছেন তারা শেখ হাসিনার সরকারকে মাইনাস করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। রাজাকার, বিএনপি এবং জঙ্গিদের রাজনীতিতে প্লাস করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। এটা জাতি এবং রাজনীতির জন্য দুঃখজনক।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন,৭ দফার প্রথম সারকথা হচ্ছে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিত তৈরি করে ভোটের আগে একটি অস্বাভাবিক সরকার আনা। যার কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। দ্বিতীয় সারকথা হচ্ছে চিহ্নিত, স্বীকৃত, সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ, জঙ্গি-সন্ত্রাসী, আগুন সন্ত্রাসী, একাত্তরের খুনিদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনে আবার পুনর্বাসন করার প্রস্তাব। দুর্নীতিবাজদের সাথে নিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধারের ঘোষণাটা হচ্ছে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের জাতির সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করা।
ইনু বলেন, জাতীয় ঐক্যের ৭ দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষের ভেতর কিছু অমিশন আছে আর কিছু কমিশন আছে। কিছু জিনিস উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উনারা বাদ দিয়েছেন এবং কিছু জিনিস উদ্দেশ্যমূলকভাবে যোগ করেছেন। ড. কামালরা জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দৃঢ় ঐক্যের বিষয়ে তারা নিরব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই ৭ দফার প্রথম সারকথা হচ্ছে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিত তৈরি করে ভোটের আগে একটি অস্বাভাবিক সরকার আনা। যার কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই। দ্বিতীয় সারকথা হচ্ছে চিহ্নিত, স্বীকৃত, সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ, জঙ্গি-সন্ত্রাসী, আগুন সন্ত্রাসী, একাত্তরের খুনিদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনে আবার পুনর্বাসন করার প্রস্তাব। নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার ঐক্যফ্রন্টের দাবি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা অসাংবিধানিক। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা এবং রাজনীতিতে প্রবেশ করানোর একটি প্রস্তাব। এটা দুঃখজনক প্রস্তাব। রাজবন্দিদের মুক্তির ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো রাজবন্দি নাই। খালেদা তারেক স্বীকৃত ও চিহ্নিত অপরাধী। তাদের মুক্ত করতেই জোটের এই ৭ দফা। 

এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে সই করা প্রেসিডেন্টের রুটিন কাজ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাজ যদি সংশোধন করতে হয় করব, সংসদ তো আছে। সরকার তো আছে, সুতরাং আলোচনাটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যেকোনো সময় মন্ত্রিসভায় আলোচনা হতে পারে। এই আইনে নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা না হওয়ায় ‘তিন মন্ত্রী কথা রাখেননি’ বলে সম্পাদক পরিষদ যে মন্তব্য করেছে তাকে হৃদয়বিদারক ও দুঃখজনক বলেছেন তিনি।

সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি যেকোনো সময় (মন্ত্রিসভায়) আলোচনাটা হবে এবং আলোচনা করলে আবারো এডিটর্স কাউন্সিল ও সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হব। আলোচনাটা চালু আছে, বন্ধ হয়ে যায়নি। বিভিন্ন বিষয়ে যে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে আলোচনার মধ্য দিয়ে সেসব বিষয়ে একটা দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সক্ষম হব বলে বিশ্বাস করি। সুতরাং তিনমন্ত্রী কথা রাখেননি এ মন্তব্যটা আমাদের কাছে হৃদয়বিদারক মন্তব্য, দুঃখজনক।
আশ্বাস দেওয়ার পরেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা না হওয়ায় এই আইনের বিতর্কিত নয়টি ধারা সংশোধনের দাবিতে আজ ১৫ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সম্পাদক পরিষদ। সম্পাদক পরিষদ এর আগে একই কর্মসূচি দিলেও তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে তা স্থগিত করা হয়। পরে সম্পাদকরা তথ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সম্পাদক পরিষদের আপত্তির বিষয়টি মন্ত্রিসভায় আলোচনার জন্য তোলা হবে এবং মন্ত্রিসভায় আলোচনার পর আবারও তিন মন্ত্রী সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। ওই সিদ্ধান্তের পর মন্ত্রিসভার দুটি বৈঠক হলেও কোনোটিতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা হয়নি। এরমধ্যে গত ৮ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে সই করেছেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ।
ইনু বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সম্পাদক পরিষদের আপত্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পরিস্থিতিটা অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রিসভায় আলোচনার পরিবেশটা ছিল না বলে হয়নি। সম্পাদক পরিষদের মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তো গণতান্ত্রিক পরিধির ভেতর কাজ করছি। সাংবাদিকরা মানববন্ধন করবেন, কোনো দাবি লিখিতভাবে করতে পারেন, সাংবাদিক সম্মেলন করে করতে পারেন, মিছিল, মানববন্ধস করে করতে পারেন- এগুলো সব দাবি তোলার পন্থা। এগুলো গণতান্ত্রিক পন্থা, সেই পন্থা অবলম্বন করলে আমাদের তো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই। আমরা শুধু বলব যে আপনি মানববন্ধ করুন, আর মানববন্ধন না করুন আমরা আলোচনায়ে আছি, আলোচনার ভেতরে থাকব।
ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে সই করা প্রেসিডেন্টের রুটিন কাজ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাজ যদি সংশোধন করতে হয় করব, সংসদ তো আছে। সরকার তো আছে, সুতরাং আলোচনাটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা নিয়ে সম্পাদক পরিষদ আপত্তি জানিয়েছে আসছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Shahidul Haque ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:৪৬ পিএম says : 0
ভোট চুরি ঠেকাতে হবে,সে যে-ই হোক
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন