বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ এর ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ মামলারর রায় ঘোষনা হতে পারে আজ।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের আদালতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতার অবৈধ অনুপ্রবেশ মামলারর রায় ঘোষনার দিন ধার্য রয়েছে আজ সোমবার। তাঁর আইনজীর ও সমর্থকদের ধারণা বেকসুর খালাস পাবেন তিনি।
তবে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও হতে পারে বিএনপির এই নেতার।
মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের ইস্ট খাসি হিল এলাকায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম শ্রেণী) এ রায় ঘোষণা করবেন আজ।
জানাগেছে, মামলায় দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয় গত ২৫ জুন। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। পরে তা পিছিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু সেদিন বিচারক শিলংয়ের জেলা সেশন জজ আদালতের বিচারিক হাকিম ডিজি খার সিং উপস্থিত না হওয়ায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর ধার্য করা হয়।
২০১৫ সালে বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে নিখোঁজ হন তিনি। পরে তাকে ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে পাওয়া যায় ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের শিলংয় শহরে। কিন্তু তিনি শিলং এ উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি এখনো রহস্য ঘেরাই থেকে গেছে।
২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে মেঘালয়ের শিলং পুলিশ। ১৯৪৬ সালের ১৪ ধারা অনুযায়ী, অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে করা মামলায় ২০১৫ সালের ২২ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় শিলং পুলিশ।
প্রায় সাড়ে তিন বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে। এর আগে চারবার আলোচিত এ মামলার রায়ের তারিখ পেছানো হয়।
সালাহ উদ্দিনের আইনজীবী এ পি মহন্ত এর মতে আদালতে সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে। তার মক্কেল বেকসুর খালাস পাবেন।
তবে দোষী সাব্যস্থ হলে সালাহ উদ্দিন আহমদের পাচঁ বছর কারাদন্ড হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার-১, চকরিয়া - পেকুয়া আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিএনপি সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। এর আগে '৯৬ সালে ওই একই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
এদিকে চকরিয়া পেকুয়ার তাঁর সমর্থক হাজার হাজার নেতা কর্মী সালাহ উদ্দিন আহমদের বেকসুর খালাসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন