তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের নিহতের ঘটনায় দুই বাসের চালকের পাশাপাশি শমরিতা হাসপাতালের অবহেলার দায় রয়েছে জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারেনি। তাদের কিছু অবহেলা রয়েছে। গতকাল সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের বেঞ্চে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কমিটি ১৮ দফা সুপারিশ পেশ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাত হারানোর ঘটনায় রাজীবের কোনো দায় ছিল না। বরং বিআরটিসি ও স্বজন পরিহনের চালকদেরই দায় ছিল। তাদের সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স ছিল না। প্রতিবেদনে শমরিতা হাসপাতালকেও দায়ী করে বলা হয়েছে, আহত রাজীবকে তারা দ্রুত চিকিৎসা দিতে পারেনি। তাদেরও অবহেলা রয়েছে। আদালতে রাজীবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে কমিটি গঠিত হয়েছিল। কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব মারা গেছে। তার কোন দায় তারা পায়নি। বিআরটিসি ও স্বজন পরিহন দুই বাসের চালকদের সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স ছিল না। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত। চলতি বছরের ৩ এপ্রিল বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের বাসের চাপায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজিব হাসানের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রিট করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। গত ৮ মে হাইকোর্ট এক আদেশে রাজিবের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেন। পরে আপিল বিভাগ ওই আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টকে দুর্ঘটনার দায় নিরূপনে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন