গর্ভধারণ প্রতিটি নারীর জন্যই অত্যন্ত সুখকর একটি সময় । গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে পরিবর্তন আসবে, এটা জানা কথা । শরীর স্ফীত হয়ে আসার ব্যাপারটা তো সবারই চোখে ধরা পড়ে কিন্তু তার মনের পরিবর্তনগুলো নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন? দেহের মধ্যে একটা প্রাণকে লালনপালন করা সহজ কাজ নয়। আর এই কারণেই খুব মুড সুইং হয়। এই ভাল তো এই মন্দ। আসুন জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় মুড সুইং মোকাবিলায় করনীয়।
নিজেকে ভালবাসুন
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনুভূতি খুব বেড়ে যায়। এই সময় নিজেকে সময় দেওয়াটা খুব দরকার। যেভাবে পারবেন নিজেকে একটু বেশি করে ভালবাসুন। যদি আপনি ৯টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কাজের মধ্যেই ডুবে থাকেন তাহলে বাকি সময়টা চাপ মুক্ত করুন। এক্ষেত্রে অবশ্য আপনার সঙ্গীকেও সচেষ্ট হতে হবে।
যোগাসন
এই সময় হরমোনের অনেক ওঠানামা হয়। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওঠানামা করে মেজাজও। এই সময় শরীর ও মনের উপর খুব চাপ পড়ে। এই সবই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে যোগাসন। প্রেগন্যান্সির সময় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি খুব সাহায্য করে। শুধু চাপ কমানোই নয়, গর্ভাবস্থার যে কোনও সমস্যা- যেমন পিঠে ব্যথা, সকালে গা গোলানো ভাব, মাথাধরা এই সবও যোগাসনে কমে। রোজ সকালে ধ্যান করলেও মেজাজ ঠিক থাকে।
কথা বলুন
যখনই মন খারাপ হবে কারও সঙ্গে কথা বলুন। নিজের কাছের জনের সঙ্গে কথা বললে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। মনের চাপ কমে। কখনও কখনও বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে যান। এতে মন ভাল থাকবে।
সময় মতো খান
সঠিক ডায়েট সবসময়ই জরুরি। বাড়ন্ত শিশুর জন্য এটি খুব দরকারী। সময়মতো খাওয়াটাও খুব দরকার। খিদে পেলেই খান। সবসময় যে পুষ্টিকর খাবারই খেতে হবে, এমন নয়। স্ন্যাকস বা আইসক্রিমের মতো খাবারও খেতে পারেন। এতে স্বাদবদলও হবে আবার মনও ভালো থাকবে।
প্রচুর ঘুমান
রাত বা দিন যখনই সময় পাবেন ঘুমিয়ে নিন। এই সময় ঘুম সবচেয়ে বেশি দরকার। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান। যতক্ষণ ইচ্ছে হয় ঘুমান। আর ক্লান্ত হলে ঘুম তো অবশ্যম্ভাবী। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ঘুমের সময় যেন মশা না কামড়ায়। এ থেকে রোগও ছড়াতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন