ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল গবেষক গবাদি প্রাণির ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশে সঞ্চরণশীল ভাইরাস দ্বারা একটি কার্যকরী টিকা উদ্ভাবন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প (হেকেপ)-এর আওতায় এ গবেষণা পরিচালিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল (মঙ্গলবার) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গবাদি প্রাণির ক্ষুরা রোগ প্রতিরোধে উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ক্ষুরা রোগ বাংলাদেশে গবাদি প্রাণির একটি অন্যতম প্রধান সংক্রামক ব্যাধি। এ রোগের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়। এ রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত টিকা প্রধানত আমদানি করা হয়। এসব টিকা উৎপাদনে যে ভাইরাস ব্যবহৃত হয়, তা এদেশে বিদ্যমান ভাইরাস থেকে ভিন্ন কিংবা টিকাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টিজেন থাকে না। ফলে প্রায়শ এগুলো কাজ করে না। উদ্ভাবিত এই টিকা বাংলাদেশে বিদ্যমান ক্ষুরা রোগের তিন ধরনের ভাইরাসের সকল প্রকার সংক্রমন থেকে গবাদি প্রাণীকে অত্যন্ত সফলভাবে সুরক্ষা প্রদানে সক্ষম হবে এবং এর মূল্য বাজারে প্রচলিত ভ্যাকসিনের চেয়ে অনেক কম হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সঞ্চরণশীল ভাইরাস দ্বারা টিকা উদ্ভাবন প্রাণিসম্পদ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ও সুরক্ষায় এ টিকা গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা রাখবে। এ ট্রাইভ্যালেন্ট টিকা তৈরিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং খামারি পর্যায়ে প্রতিমাত্রা টিকা ৬০-৭০ টাকার মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, হেকেপ পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত, ইউজিসি’র সদস্য ড. ইউসুফ আলী মোল্লা ও ড. আক্তার হোসেন এবং ড. জাফর ইকবাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। পরে গবেষক দলের প্রধান ড. মো. আনোয়ার হোসেন টিকা উদ্ভাবন সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবার দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন