শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

চসিকে আ জ ম নাসিরের ১ বছর

প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আইয়ুব আলী : চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়র পদে নির্বাচনের এক বছর পূর্তি আজ। গত বছরের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি ওই বছরের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট শপথ গ্রহণ করে ২৬ জুলাই মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরে ৬ আগস্ট নির্বাচিত পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা হয়।
নির্বাচন উপলক্ষে ঘোষিত ইশতেহারে আ জ ম নাছির পরিচ্ছন্ন ও সবুজ বিশ্বমানের নগরী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ইশতেহারে বাস্তবায়নে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাতে আবর্জনা অপসারণ শুরু হয়। এ ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে।
চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বিশ্বমানের বাসযোগ্য সমৃদ্ধ নগরীতে পরিণত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে তিনি নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন। পানিবদ্ধতা নিরসনে খাল-নালার ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলন, খাল-নালা দখল মুক্ত করাসহ ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে জাইকা, এডিপি, থোক, রাজস্ব খাতের অর্থ থেকে প্রায় ৭শ’ ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার কার্যক্রম চলমান আছে। সবুজ নগরীর বিষয়ে অসংখ্য দেশী-বিদেশী সংস্থা তাদের প্রস্তাবনা পেশ করেছে। শতভাগ আলোকিত নগরীর প্রস্তাবনায় দেশী-বিদেশী কোম্পানী এলইডি, আইপি ক্যামেরা ও ওয়াইফাই জোনসহ বহু ধরনের প্রস্তাব পেশ করেছে। এ ছাড়াও বর্জ্য থেকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাবনাও পেশ করা হয়েছে। সিটি মেয়র নাছির উদ্দীন তার ভিশন বাস্তবায়নে নগরীর যাবতীয় সেবা সংস্থা, ব্যাংক-বীমা, শিল্প কারখানা, দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তাদের সংগঠন চেম্বার, বিজিএমইএসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মতামত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছেন।
মেয়র বলেন, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৪১টি ওয়ার্ডে ঘরে ঘরে বর্জ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চালু করা হবে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নগরীকে সবুজায়ন করা হবে এবং ৩ বছরের মধ্যে নগরীর সকল সড়ক মানসম্মত কার্পেটিং রাস্তায় উন্নীত করা হবে ও ৪১টি ওয়ার্ডকে শতভাগ আলোকিত করা হবে।
সিটি মেয়র পরিচ্ছন্ন ও সবুজ নগরী গড়ার প্রসঙ্গে বলেন, ইতোপূর্বে নগর পরিকল্পনাবিদ ও গুণীজনদের সাথে মতবিনিময় এবং পরামর্শক্রমে গৃহস্থালী আবর্জনা, দোকান, মার্কেট, হাট-বাজার ইত্যাদিতে সৃষ্ট বর্জ্যসমূহ ভ্যান গাড়ীর মাধ্যমে সরাসরি আবর্জনাবাহী ট্রাকে তুলে ডাম্পিংগ্রাউন্ডে ফেলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। ‘ডোর টু ডোর’ আবর্জনা সংগ্রহ এবং সরাসরি ডাম্পিং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, দানশীল ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান এবং নগরবাসীর প্রতি ইতোপূর্বে পত্র-পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রচারসহ লিফলেটের মাধ্যমে আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন