শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নেত্রকোনায় প্রতিমা ভাংচুর ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও হামলাকারী আটক

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ৬:৩৯ পিএম

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কৈলাটী গ্রামে প্রতিমা ভাংচুরের রহস্য ও ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) শাহ্ শিবলী সাদিক শুত্রুবার দুপুরে দুর্গাপুর থানায় এক প্রেসব্রিফিং-এ জানায়, গত ১৫ অক্টোবর সোমবার রাতে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামের সার্বজনীন কালী মন্দিরে কে বা কারা প্রতিমা ভাংচুর করে। পরদিন মন্দির কমিটির বলরাম পাল বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় ২৯৫/৩৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনাস্থলে ফেলে রাখা মানি ব্যাগ, ছবি ও কিছু কাগজ পত্রসহ বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করি।
প্রথমে মানি ব্যাগের ভেতর থাকা কাগজ পত্র দেখে পার্শ্ববর্তী পূর্বধলা উপজেলার শোয়ায়েবকে আটক করে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার মূল হোতা ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকা থেকে আহসানুল করিমের স্ত্রী পারভিনা খাতুনকে আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আটক পারভিনা প্রতিমা ভাংচুরের দিক-নির্দেশনা দেওয়ার কথা স্বীকার করে। গত ১৮ অক্টোবর পারভীনা নেত্রকোনার সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জুলফিকার হোসাইন রনি’র আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।
প্রেস ব্রিফিং-এ শাহ্ শিবলী সাদিক জানায়, পারভিনা খাতুনের মেয়ে মিথিলার সাথে শোয়ায়েব দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে পারভিনার পরিবার তাতে আপত্তি জানিয়ে তাদের মেলামেশা বন্ধের নির্দেশ দেয়। এক পর্যায়ে পরিবারের অমতেই মিথিলা শোয়ায়েব বিবাহ করে। বিষয়টি মিথিলার পরিবার মেনে নিতে পারেনি। তাই মেয়ের জামাইকে বিপদে ফেলতে তারা নানা ধরনের ফন্দি ফিকির বা ছল খুঁজতে থাকে। দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে পারভিনা খাতুনের দু’সম্পর্কের আত্মীয় দুর্গাপুরের গন্ডাবের গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র নাইমকে দিয়ে কৈলাটি গ্রামের কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করায় এবং ঘটনাস্থলে মানি ব্যাগের ভেতর শোয়ায়েবের ছবি, জন্ম সনদের ফটোকপি ও এস এস সি পাশের সনদের ফটোকপি ফেলে আসে। যাতে করে শোয়ায়েব মামলায় ফেঁসে যায়।
তিনি আরো জানান, মামলা দায়ের ৪৮ ঘন্টার মাধ্যেই প্রতিমা ভাংচুরের মূল হোতা পারভিনা খাতুন এবং প্রতিমা ভাংচুরকারী নাইমকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন