নিয়মিত কোরআন পাঠ করার কারণেই আল্লাহ আমার চোখের দৃষ্টি শক্তি অক্ষুন্ন রেখেছেন। ১২৫ বছরের বৃদ্ধা মো. আব্দুল কাদির বয়সের ভারে কাহিল হলেও চোঁখের দৃষ্টি শক্তি এখনো আগের মতই আছে বলে জানান কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জামিরা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল কাদির মিয়া।
১৮৯৩ সালে জন্ম। চশমা ছাড়াই কোরআন তিলাওয়াত করতে পারেন তিনি। তবে বর্তমানে বয়সের ভাড়ে চলাফেরা করতে না পারলেও দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও কোরআন তিলাওয়াত করেন। ১৯১৮ সালে চান্দিনার একই ইউনিয়ন মহিচাইল গ্রামের মৃত হাছান আলী মুহুরির মেয়ে বানু বেগমের সাথে তার বিয়ে হয়। তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে মো. কাশেম মারা যান। জামিরা পাড়া মিম হে ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সহ-সুপার মাওলানা মো. আবুল হাসেম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমার বাবা নিয়মিত নামাজ ও কোরআন পাঠ করেন। এখন বয়স হয়েছে বিছানায় শুয়ে নামাজ পড়েন। কোরআন হাতে নিয়ে বসতে পারেন না। তাই মাঝে মাঝে শুয়ে বালিশের উপর রেখে বা কেউ ওনার সামনে কোরআন ধরলে শুয়ে শুয়ে কোরআন পাঠ করেন। আমার বাবা যৌবন বয়স থেকে ওয়াজ মাহফিলের বক্ত ছিলেন। যেখানেই ওয়াজ মাহফিলের কথা শোনতেন পাঁয়ে হেঁটে ৫০/৬০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে মাহফিল শুনে বাড়িতে ফিরে আসতেন। আব্দুল কাদির মিয়া আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করে জানায়, আমি অনেক ভালো আছি। এখনো খালি চোখে পড়তে পারি। সবসময় আল্লাকে স্মরণ করি ও কোরআন পাঠ করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন