শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রোহিঙ্গারা অধিকার, সম্মান ও নিরাপত্তা সহকারে মিয়ানমারে ফিরবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা

বিশেষ সংবাদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৮, ৯:১৯ পিএম

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গারা অধিকার, সম্মান ও নিরাপত্তার সঙ্গে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাবে বলেও যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী এলিস ওয়েলস রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে একথা বলেন।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর সাথে যুক্তরাষ্ট্রও একযোগে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

সোমবার (২২ অক্টোবর) বিকালে কক্সবাজারের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এই কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারও চাপ দিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা চলছে।

সকালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুমের কোনারপাড়া শূণ্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে যান এলিস ওয়েলস। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যাদি জানতে চেষ্টা করেন।
এরপর তিনি কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং সেখানে বেশকিছু রোহিঙ্গার সঙ্গে আলাপ করেন। এছাড়া এলিস রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থার কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
রবিবার বিকালে কক্সবাজার পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী এলিস ওয়েলস।একইদিন বিকালে তিনি শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালামের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গত বছরের ২৫ আগস্টের পর ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় নিয়েছেন।
আগে থেকে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাসহ কক্সবাজারের ৩০টি ক্যাম্পে বর্তমানে ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মাহবুব ২২ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:৫৫ পিএম says : 0
এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন ধন্যবাদ ।কিন্তু রাশিয়া যে পরোক্ষ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পৃষ্টপোষক,সাথে চীন ,তার কি হবে? পরাশক্তির বিভাজন,অনৈক্য বিশ্বকে আরো ঝঁকিপূর্ণ করছে,সংঘাত স্থায়ী করছে,তাতো তথ্য ও বাস্তবতা প্রমাণ দেয় ।মিয়ানমারের হত্যাযজ্ঞ যদি রাশিয়ার বন্ধু ক্যমুনিস্টদের বিরুদ্ধে হত,তবে কি প্রকাশ্য মানবতা সুরক্ষার জন্য সিরিয়ার মত রণসজ্জা বিশ্ববাসী দেখতে পেত না ?রোহিঙ্গারা খৃস্টান যদি হত ,আরাকান পূর্ব তিমির কি হত না ? কেবল মুসলমান ! অথচ এরাই মানবপ্রেম,মানবতা,সাম্য বাখ্যা করে দূর্বল চিন্তার মানবকে মেরুকরণ করছে ।অসহায় হয়ে নিরবে দেখছি । শান্তির ললিত বাণি শুনতে শুনতে বিশ্ব মানবতা কুম্ভকর্নের দীর্ঘনিদ্রায় বিভোর ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন