ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : গতকাল বুধবার ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়েনের ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামে গৃহবধূ রাশিদা বেগম (৩০) কে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, কুপিয়ে যখমের পর চুল কেটে ন্যাড়া করে দিয়েছে স্বামীর প্রথম স্ত্রী, তার মেয়ে ও মেয়ে জামাই। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধূ রাশিদা বেগম এখন ভাঙ্গা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে ব্রাহ্মনকান্দা গ্রামের কামরুল শেখ প্রায় ২১ বছর সউদী আরবে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করেন। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে সঞ্চিত সমুদয় টাকা পরিবারে সুখের জন্য প্রথম স্ত্রী রিক্তার নিকট পাঠায়। স্বামী টাকা ফেরত চাইলে এবং পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে পারিবারিক কলহ চরম আকার ধারন করে। এ নিয়ে পুত্র স্ত্রী কন্যাসহ পরিবারের সকলের কাছ থেকে কামরুল বিচ্ছিন্ন হয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে অযতœ অবহেলায় খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়ে ভবঘুরের মত বসবাস করতে থাকেন। সম্প্রতি কামরুল শেখ একই গ্রামের রাশিদা বেগম নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন। বিবাহের খবর শুনে গত মঙ্গলবার সন্ধায় প্রথম স্ত্রী রিক্তা বেগম, ছেলে পিঞ্জর (২২), মেয়ে ছনিয়া (২০), শাহানা (১৮) ও মেয়েজামাই মহিউদ্দিন ও আজাদ সঙ্ঘবদ্ধভাবে রাশিদা বেগমের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় রাশিদাকে হাত পা মাথা সহ শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে আঘাত করে। এক পর্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক যখম করে এবং মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান গৃহবধূ রাশিদা বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন