শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ফুলবাড়ীতে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীর ধর্ষক সতপিতা আটক

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৪:০২ পিএম

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অপহরণের পর ১৮ মাস আটক রেখে এক ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে আকাশ চৌধুরী নামে ওই ছাত্রীর সৎ পিতা।

গতকাল বুধবার ঢাকা মালিবাগ থেকে ধর্ষক সৎ পিতা আকাশকে আটক করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, আকাশ চৌধুরীর নিকট থাকা একটি জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম আকাশ চৌধুরী পিতার নাম সেলিম চৌধুরী ও ঠিকানা বেতদিঘী ফুলবাড়ী দিনাজপুর লেখা থাকলেও, তদন্তে সেখানে এই নামে কেউ বসবাস করেনা বলেই জানা যায়। তার নিকট থাকা পরিচয়পত্রটিতে নাম ও ঠিকানা ভূয়া হতে পাওে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ফুলবাড়ী থানার ওসি শেখ নাসিম হাবিব বলেন, উপজেলার গড় পিংলাই গ্রামের সৈয়দ আরশেদ আলীর মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা সৈয়দা মুক্তা বেগম ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করার সুবাদে পরিচয় হয় ধৃত আকাশের সাথে। এরপর আকাশ নিজের পরিচয় গোপন রেখে মুক্তা বেগমকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে, তাদের সংসারে সিয়াম নামে একটি ৮ বছরের ছেলে রয়েছে। গার্মেন্টস এর চাকুরী ছেড়ে মুক্তা বেগম তার গ্রামের বাড়ী ফুলবাড়ী উপজেলার চলে আসলে, আকাশও তার সাথে এসে মুক্তা বেগমের বাবার বাড়ীতে বসবাস শুরু করে। ওই বাড়ীতে বসবাস করতো মুক্তা বেগমের পুর্বের স্বামীর ঘরে জন্ম নেয়া ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী এক মেয়ে। লম্পট আকাশ গত ২২-০৪-২০১৭ তারিখে মুক্তা বেগমের মেয়ে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়। এবং বিভিন্ন জায়গায় আটক রেখে তাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় চলতি সনের ১ জুলাই ফুলবাড়ী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে ওই ছাত্রীর মা মুক্তা বেগম। এরই মধ্যে চলতি মাসের গত ১৪ তারিখে ওই ছাত্রী কৌশলে ঢাকা থেকে পালিয়ে আসলে, তাকে ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ। উদ্ধার কৃত অপহৃতার দেয়া তথ্য মোতাবেক গত মঙ্গলবার ঢাকা মালিবাগ থেকে ধর্ষক সৎপিতা আকাশকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহমান বলেন, অপহৃতার দেয়া তথ্য মোতাবেক ঢাকা মালিবাগ থাানার পুলিশের সহায়তায় ধর্ষক আকাশকে আটক করা হয়। ইতোপুর্বে উদ্ধারকৃত ধর্ষিতার মেডিকেল পরিক্ষা করা হয়েছে।
ধর্ষিতার মা মুক্তা বেগম বলেন, আকাশ একজন প্রতারক সে কোন ধর্মের তার কোন ঠিক নাই, সে নিজেকে মুসলমান পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর সে জানতে পারে আকাশ মুসলমান ছিলনা তবুও সে তার সাথে ঘর সংসার করেছে। কিন্তু আকাশের মা তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল সে কারনে তিনি ঢাকায় চাকুরী ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জানান মুক্তা বেগম ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন