শেখ আব্দুল কাদের। বয়স ৮২ বছর। এর মধ্যে ২৭ বছর কাটিয়েছেন ব্যাংকার হিসাবে। সেখান থেকে অবসর নিয়ে যোগ দেন বীমা পেশায়। কাজ করেছেন দেশের নামী দামী বিভিন্ন বীমা কোম্পানিতে। কর্মময় জীবনের শেষে সময়ে এসে আটকে গেছেন মেঘনা জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে। বেতন ভাতাদি ও বোনাস বাবদ কোম্পানির কাছে সুদ সহ চারবছরে পাওনা এসে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকায়। এই পাওনা আদায়ে তিনি এখন ছুটছেন হাইর্কোট, নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে কোম্পানির দুয়ারে দুয়ারে।
এমন ঘটনায় বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) শেখ আব্দুল কাদেরের পাওনাদি নির্ধারনপূর্বক আগামী ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহন করতে গেল ১৩ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দিলেও সেদিকে নজর নেই কোম্পানির। বরং কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে শেখ আব্দুল কাদের তাদের কাছ থেকে কোনো টাকাই পান না। আইডিআরএ যে নির্দেশ দিয়েছেন সেটি অনুসরন করেই কোম্পানি সব কার্যক্রম সম্পূর্ন করেছে। কিন্ত কোম্পানির এমন বক্তব্য মানতে নারাজ আব্দুল কাদের। তিনি জানিয়েছেন, তার প্রাপ্য পাওনাদি সুচারু রূপে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য একটি চার্টার্ড একাউন্ট কোম্পানি নিয়োগ দেয়ার জন্য। এমনকি চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট কোম্পানির প্রযোজ্য ফি বা চার্জের একটি আনুপাতিক হারও বহন করতে রাজি তিনি।
গেল ১১ মার্চ আইডিআরএ কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে মূল বেতন ভাতাদি ও মজুরীকৃত বোনাসসহ তার পাওনা প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা। এর সাথে সুদসহ পাওনা এসে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ ১৪ হাজার। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ক্রমাগত তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন কোম্পানিকে। অথচ পাওনা বেতন ভাতাদি পরিশোধ না করে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি নানা ধরনের ছল চাতুরীর মাধ্যমে বিলম্ব করতে থাকে। আকস্মিক ভাবে ২০১৬ সালের এ চাকুরী থেকে একতরফা অব্যাহতি প্রদানের চিঠি দেয়। এরপর লিখিতভাবে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষের চিঠি উত্তর দেই এবং আমার সমুদয় পাওনা পরিশোধের দাবি জানাই। এখন পর্যন্ত মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে কোন সুদত্তর বা সমাধান পায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন