রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গোবিন্দগঞ্জে দুই যুবকের পোড়া লাশ ৫ দিন পর বেওয়ারিশ হিসাদে দাফন

প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দুর্বৃত্তরা অজ্ঞাত দুই যুবককে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ঝলসে দেয়া লাশের পাঁচ দিনেও তাদের পরিচয় উদ্ধার হয়নি। গত বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর- বগুড়া মহাসড়কের কাটাখালি ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্বে হাওয়াখানা এলাকার করতোয়া নদীর সিসি বøকের নীচে গম ক্ষেত থেকে ওই দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে গতকাল তাদের লাশ দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার ভোরে হাওয়াখানা এলাকায় করতোয়া নদীর সিসি বøকের নীচে গম ক্ষেতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সী দুই যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায় এলাকাবাসী । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল সহ ডিএনএ টেষ্টের জন্য আলামত সংগ্রহের পর লাশ দুটি উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থলে যান। ২২-২৫ বছর বয়সি ওই দুই যুবকের গায়ে আগুন দিয়ে পুড়ে দেওয়ায় তাদের চেনা যাচ্ছেনা। আগুনে তাদের মুখ মÐল, বুক ও হাত-পা পুড়ে ঝলছে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই দুই যুবক ধণাঢ্য পরিবারের সন্তান বা ব্যবসায়ী হবে। তাদের পড়নে জিন্স, গ্যাবাডিন প্যান্ট ও পায়ে দামি জুতা ছিল। দুর্বৃত্তরা সম্ভবত অন্য কোন এলাকা থেকে ওই দুই যুবককে ধরে এনে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এরপর যাতে চেনা না যায় এজন্য গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে করতোয়া নদীর সিসি বøকের নীচে গম ক্ষেতে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
ওসি মোজাম্মেল হক আরও বলেন, নিহত দুইজনের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য দেশের সব থানায় বাতার্ পাঠানোসহ ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তর, সিআইডি ও এসবিকে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক আলতাব হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার রহস্য উৎঘাটনে তদন্ত চলছে।
এদিকে হত্যাকাÐের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল (সোমবার) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকাÐের কোন তথ্য উদঘাটন বা জড়িতদের সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ময়না তদন্তের পর লাশ দুটি হিমঘরে রাখা হয়েছিল। পরিচয় পাওয়া না যাওয়ায় জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে লাশ দুটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে গতকাল দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন