চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : কাল ২৭ জানুয়ারি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন ঘিরে ১২ প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণাও শেষপর্যায়ে। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ঐ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সম্মেলন উদ্বোধন করবেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আ. মতিন খসরু এমপি, র.ম. মুসতাকিন, ফরিদুর রহমান লাইলী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী।
সম্মেলন ঘিরে ইতোমধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের ব্যানার, রঙিন পোস্টার, বিলবোর্ড ও ফ্যাস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো চাঁদপুর। প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা সফর করছেন ৮ উপজেলার নেতাকর্মীদের কাছে। দিবারাত্রি কাউন্সিলরদের কাছে যোগাযোগ এবং শীর্ষ নেতাদের কাছে লবিং চলছে সমান তালে।
সম্মেলনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ড. শামছুল হক ভূঁইয়া, পৌর মেয়র ও চাঁদপুর শহর সভাপতি নাছির উদ্দিন আহম্মেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের ব্যানার, পোস্টার ও ফ্যাস্টুনে পুরো শহর এখন নতুন করে সেজেছে। তাদের সমর্থকরা পুরো জেলায় নেতাকর্মীদের কাছে গিয়ে মতবিনিময়সহ দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সহ-সভাপতি ওচমান গনি পাটোয়ারী, যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, আহসানউল্লাহ আখন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, শামসুল হক মন্টু পাটোয়ারী, অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. হারুনুর রশিদ সাগরের নাম শোনা যাচ্ছে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী বলেন, সম্মেলনে প্রতি ১০ হাজার জনগণের প্রেক্ষিতে একজন করে কাউন্সিলর হবেন। সেই হিসেবে বিভিন্ন উপজেলায় জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। এতে করে একেক উপজেলায় কম-বেশি করে কাউন্সিলর হতে পারে। চাঁদপুরের ২৫ লাখ মানুষ হিসেবে কমপক্ষে ২৫০ জন কাউন্সিলর সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন। সম্মেলনে নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের প্রস্তাবের ওপর নির্ভর করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য কাউন্সিলরা যদি নেত্রীর ওপর দায়িত্ব দেয় তাহলে নির্বাচন হবে না। আর যদি প্রস্তাব আসে আমরাই আমাদের নেতা নির্বাচিত করব, সে ক্ষেত্রে যেই কয়টি পদে তারা প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করবে সেই পদে একাধিক প্রার্থী থাকলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন