শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

শিশুরা পথে জন্মায় না, সমাজ তাদের ‘পথশিশু’ বানায় -মেহের আফরোজ চুমকি

প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, পথ শিশু বলে কিছু নেই। পথে কোন শিশু জন্মানোর কারণে সে পথ শিশু হয় না, সমাজ তাদের পথ শিশু বানায়। দরিদ্র্যতা, বাবা মায়ের বিচ্ছেদ, বাবা-মা মারা যাওয়া বা বাবা-মায়ের অসচেতনতা অথবা অর্থলোভী কিছু মাদক ব্যবসায়ীর কারণে এখন কিছু শিশু পথে দিন কাটায়। শিশুদের দিয়ে কোন রকমের অসামাজিক কার্য সম্পাদনের বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে তিনি আহ্বান জানান। গতকাল রাজধানীর কমলাপুরে পথ শিশুদের পুনর্বাসন কেন্দ্র উদ্বোধন ও এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এদিকে এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, কমলাপুরের পথ শিশুদের প্রায় ৫৩ শতাংশ ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী এবং প্রায় ৮৩ শতাংশ পথ শিশু তারা তাদের খাবার নিজেরাই সংগ্রহ করে। তাদের ৬০ শতাংশ মাদক নেয় এবং প্রায় ৮০ শতাংশ পথ শিশু যথাযথভাবে টয়লেট ব্যবস্থা নেয় না।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসির সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমির হোসেন, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি এস এম রুহুল আমিন প্রমুখ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন কিছু পথ শিশু, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ ও এনজিও প্রতিনিধি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শিশুর ঠিকানা পথে নয়, সরকার সব পথ শিশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে। প্রতিমন্ত্রী পথ শিশুদের পরিচয় ও তাদের পিতামাতাকে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করার পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, দরিদ্রতা শিশুদের পথে নিয়ে আসে। সরকার দরিদ্রতা দূর করার জন্য সমন্বিত দরিদ্র দূরীকরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন এই সমস্যা সমাধানে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
উল্লেখ্য, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পথ শিশুদের পুনর্বাসন করার জন্য পথ শিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রাথমিকভাকে ঢাকা শহরের দুইটি জায়গা, যে দুইটি জায়গায় পথ শিশুর সংখ্যা বেশি, কাওরান বাজার ও কমলাপুরকে পাইলটিং করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কার্যক্রম পরিচালক ড. আবুল হোসেন একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বলেন, কমলাপুরের পথ শিশুদের প্রায় ৫৩ শতাংশ ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী এবং প্রায় ৮৩ শতাংশ পথ শিশু তারা তাদের খাবার নিজেরাই সংগ্রহ করে। তাদের ৬০ শতাংশ মাদক নেয় এবং প্রায় ৮০ শতাংশ পথ শিশু যথাযথভাবে টয়লেট ব্যবস্থা নেয় না। তিনি আরও বলেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে পথ শিশুদের পুনর্বাসন, মটিভেশন, কাউন্সিল এবং শিক্ষা ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে ২২, কমলাপুর বাজার রোডের রাজ্জাক টাওয়ারে পথ শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন