রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভেঙে পড়েছে সেবার মান

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপূর্ণতা ও দূরাবস্থার কারণে স্বাস্থ্য সেবার মান ভেঙে পড়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীরা হাসপাতালে না গিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে।

জানা গেছে, ২১টি পদের বিপরীতে ইউএইচএসহ মাত্র ৪ জন এমবিবিএস ডাক্তার কর্মরত আছেন। এছাড়া একজন আয়ুর্বেদ ও একজন ডেন্টাল সার্জন আছেন। নার্সের ১৬টি পদের বিপরীতে আছেন ১২ জন, যার মধ্যে ৩ জন ডেপুটেশানে অন্যত্র কর্মরত আছেন। ৩ জন চিকিৎসকে বাধ্য হয়ে একটানা ২দিন করে ডিউটিতে রাখতে হয়। আর প্রতি সপ্তাহে একদিন করে হাসপাতালে কোন চিকিৎসক থাকেন না। ফলে সপ্তাহে একদিন করে চিকিৎসক ছাড়াই হাসপাতাল চলে।
রাতে বিদ্যুৎ লোডশেডিং হলে হাসপাতাল কক্ষে হারিকেন জ্বালিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। আইপিএস বিকল হয়ে গেছে। জেনারেটর থাকলেও ব্যবহার করা হয়না। এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। প্যাথলজিস্ট নেই। এ্যানাস্থেসিয়া ও গায়নি চিকিৎসক নেই। ডাঃ ইসকেন্দার আলম নামে একজন (এ্যানাস্থাসিয়া) সহকারী সার্জন হাসপাতালে পোস্টিং থাকলেও তিনি কি কারণে ও কার বদৌলতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেপুটেশনে বহাল তবিয়তে রয়েছেন জানানেই। আশাশুনিতে যেখানে কোন কিছুই পূর্ণ নেই, বরং অনেক কিছুর কিছুই নেই, সেখানে ডেপুটেশানে অন্যত্র অবস্থানের কারবার হতাশজনক। সপ্তাহে ২ দিন এখানে তাকে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননা। বরং আশাশুনি থেকে বেতন ঠিকই তিনি উঠিয়ে নিচ্ছেন। জনবল না থাকায় সরকারের ডিএসএফ প্রোগ্রাম চালান হচ্ছেনা।
এছাড়া ঔষুধ স্বল্পতা, চিকিৎসকের অভাবে ঠিকমত চিকিৎসা সেবা না পাওয়াসহ রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। তারপরেও এলাকার অসহায় মানুষ চিকিৎসা পেতে হাসপাতালে আসছেন। বেডে প্রতিদিন গড়ে ৬০/৭০ জন করে রোগী থাকেন। আউটডোরে (জরুরী ও বহিঃ বিভাগ) প্রতিমাসে গড়ে ৪৫০০ রোগির আগমন ঘটে।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কুমার ব্যানার্জী জানান, চিকিৎসক সঙ্কট বরাবর হাসপাতালে রয়েছে। এ্যানাস্থাসিয়া না থাকায় চাহিদা থাকলেও ডেলিভারী করান সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়া অনেক সমস্যা আছে। অসুবিধা ও সমস্যার কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল আশাশুনিতে আসলে বিষয়টি এলাকাবাসির পক্ষ থেকে তার কাছে জোরালোভাবে উত্থাপন করা হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনকে জরুরী ভিত্তিকে পরিদর্শন করে রিপোর্ট করতে আদেশ প্রদান করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন