পাকিস্তানে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর (সিপিইসি) কাঠামোর আওতায় ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতার ব্যাপারে তার দেশের প্রবল আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
সোমবার ইসলামাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং বলেন, পাকিস্তানের প্রতিবেশী বন্ধু দেশগুলো, বিশেষ করে ইরানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ব্যাপারে চীন আগ্রহী। ইয়াও জোর দিয়ে বলেন যে এই প্রকল্প শুধু পাকিস্তান ও চীনকেই নয় এই অঞ্চলের সব দেশকে উপকৃত করবে।
চলতি মাসে সউদী আরবের একটি টিম পাকিস্তান সফর করে তেল ও খনিজ সম্পদ খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতা বিষয়ে চারটি চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তিগুলো শেষ পর্যন্ত চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এই উদ্যোগ পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দরকে ওমান ও রিয়াদ হয়ে আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত করবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন যে, সিপিইসি’তে যোগ দিতে পাকিস্তান সউদী আরবকে যে প্রস্তাব দিয়েছে এবং ইরান ও আফগান সীমান্ত সংলগ্ন বালুচিস্তান প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে রিয়াদ যে বিনিয়োগ করছে তা তেহরানকে ক্ষুব্ধ করতে পারে। এই অঞ্চলে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ মিত্র রিয়াদ এবং চীনের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক প্রকল্পে রিয়াদের অংশগ্রহণ এই অঞ্চলে নতুন ভূ-রাজনৈতিক মেরুকরণ করবে কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবে, ইরান নিশ্চিতভাবে তার দোড়গোড়ায় সউদী আরবের উপস্থিতি দেখতে চাইবে না। অন্যদিকে সরকারপন্থী বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, সউদী বিনিয়োগ চীন বা তেহরান কাউকেই ক্ষুদ্ধ করবে না। সিপিইসি হলো বহু ধরনের পরিকাঠামো প্রকল্পের সমন্বয়। পাকিস্তানজুড়ে এই প্রকল্পগুলোর নির্মাণ কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে সিপিইসি’র ব্যয় ৪৬ বিলিয়ন ডলার ধরা হলেও ২০১৭ সাল পর্যন্ত তা ৬২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সূত্র : এসএএম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন