শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

লালবাগে কুপ্রস্তাবে অসম্মতি সাজানো মামলায় মাসহ কলেজ ছাত্রী আটক জেলে প্রেরণ

প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর লালবাগে সন্ত্রাসীর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এসিড নিক্ষেপের ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক কলেজ ছাত্রী ও তার মা-বাবাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। লালবাগের স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দানকারী সন্ত্রাসী চঞ্চল ও কয়েকজন ক্যাডারের সহযোগিতায় এ ঘটনা সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লালবাগ থানার ৫৩ নম্বর ডুরি আঙ্গুল লেনের আব্দুস সাত্তারের সাথে তার ভাইদের বিরোধ রয়েছে। এজন্য তাকে বাড়ী বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শান্তাকে সন্ত্রাসী চঞ্চল বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব ও ইভটিজিংসহ নানাভাবে হয়রানী করে। এরপর গত ১লা এপ্রিল লালবাগের মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী চঞ্চলের নেতৃত্বে সাত্তারের বাড়িতে হামলা চালানো হয় এবং এ সময় তার স্ত্রী ওরনা বেগমকে পিটিয়ে আহত করে ও মেয়ে শান্তাকে মারধরসহ শ্লীলতাহানি করা হয়। গত বুধবার রাতে সন্ত্রাসী চঞ্চল সাত্তারের বাড়ির বিদ্যুৎ এর লাইন কেটে দেয়। খবর পেয়ে নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান গিয়ে পরিস্থিতি থামিয়ে মীমাংসা করে দেন। এসময় আব্দুস সাত্তারের পরিবারকে এসিড মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন সেতারা বেগম ও সন্ত্রাসী চঞ্চল।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ির মালিক সাত্তারের ছেলে কোচিং করে বাসায় ফিরছিলো। এসময় সন্ত্রাসী চঞ্চলের নেতৃত্বে তাকে আটক করা হয়। এর আগে সেতারা বেগমের হাতে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা সাজানো হয় এবং স্কুল ছাত্রকে মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে তার মা ওরনা বেগম এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। সংবাদ পেয়ে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েসহ স্বামী সাত্তার এগিয়ে গেলে তাদেরসহ ৪ জনকে আটক করে রাখে। পরে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। রাতে সেতারা বেগমের স্বামী এসএম দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে ৪ জনের নামে লালবাগ থানায় এসিড নিক্ষেপের মামলা করেন (মামলা নম্বর ১৮, তারিখ ২৮/৪/২০১৬)।
উল্লেখ্য, সেতারা বেগম ও চঞ্চল বাড়ির মালিক সাত্তারের পরিবারকে মিথ্যা মালায় ফাঁসানোসহ হুমকি দেয়ায় গত ২১ মার্চ সাত্তারের পরিবার ওরনা বেগম লালবাগ থানায় জিডি করেন। কিন্তু পুলিশ ওই জিডির তদন্তপূর্বক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ ব্যাপারে লালবাগ থানার এসআই আনিছুর রহমান বলেন, নিজেদের মধ্যে সামান্য ময়লা ও ড্রেনে পানি ফালানো নিয়ে বিরোদ চলে আসছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আমি কয়েকবার গিয়ে ঝগড়া থামিয়ে এসেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন