আগামী ১০ নভেম্বর ঢাকা-পঞ্চগড় রেলপথে নতুন দুটি ট্রেন চালু হচ্ছে। ওই দিন সকালে পঞ্চগড়ে দ্রুতযান এক্সপ্রেস উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকার সাথে পঞ্চগড়ের সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ শুরু হবে। উদ্বোধনের দিন থেকেই একতা ও দ্রুতযান আন্তঃনগর ট্রেন দুটি ঢাকা থেকে যাত্রা করে পঞ্চগড় পর্যন্ত যাবে। আবার পঞ্চগড় থেকে যাত্রা শুরু করে ঢাকা পর্যন্ত আসবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম (৫৮৬ কি.মি.) রেলপথ পাড়ি দেয়ার জন্য ট্রেন দুটি যাতে সময় মেনে চলতে পারে সেজন্যও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনটি রেকে (১৩ কোচ সমন্বয়ে এক রেক) ট্রেন দুটি চলবে। দুটি থাকবে চলাচলরত অবস্থায় বাকী একটি প্রস্তুত রাখা হবে। এতে করে ঢাকা থেকে কোন ট্রেন বিলম্বে পঞ্চগড় পৌঁছালেও পঞ্চগড় থেকে ঢাকামুখি ট্রেন সঠিক সময়ে ছাড়তে পারবে। বাড়তি এই রেক নেয়া হচ্ছে নীলসাগর থেকে। আর নীলসাগরে যুক্ত হচ্ছে ভারত থেকে আমদানীকৃত এলএইচবি কোচ। অর্থাৎ একতা ও দ্রুতযান ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানীকৃত পিটি ইনকা কোচে চলবে।
সূত্র জানায়, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি পঞ্চগড় স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটি ঢাকা এসে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে। একতা এক্সপ্রেস পঞ্চগড় থেকে রাত ৯টায় ছেড়ে ঢাকায় আসবে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে। পক্ষান্তরে, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত ৮টায়। পঞ্চগড়ে পৌঁছাবে ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে। একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে পঞ্চগড় পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এদুটি ট্রেনের কোনো সাপ্তাহিক বিরতি থাকবে না।
ঢাকা-পঞ্চগড় রেলপথে নতুন দুই ট্রেন চালু হলে উত্তরের অবহেলিত জনপদ ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের মানুষের বহুদিনের দাবি পূরণ হবে। ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলা শহর ছাড়াও আরও কমপক্ষে দুটি উপজেলাবাসী সরাসরি ঢাকার ট্রেনের সুবিধা পাবে। বর্তমানে ট্রেন দুটি দিনাজপুর পর্যন্ত যায়। এতে করে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের যাত্রীদেরকে দিনাজপুর থেকে শাটল ট্রেনে করে গন্তব্যে যেতে হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ট্রেন দুটি চালুর দিন থেকে শাটল ট্রেন আর চলবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন