বিরল এক রোগ। রোগটির আরেকটি নাম আছে। সে নামটি আরো বিদঘুটে। নিউরোমায়েলাইটিস অপটিকা। মাল্টিপল স্কে¬রোসিস নামে স্নায়ুতন্ত্রের অসুখের সাথে এ অসুখের বেশ মিল। এটি একটি অটো ইমিউন ডিজিজ। অর্থাৎ দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কণিকা নিজের দেহের কোষকেই আক্রমণ করে।
ডেভিক্’স ডিজিজে অপটিক নার্ভ (যে নার্ভ দেখতে সাহায্য করে) এবং স্পাইনাল কর্ড আক্রান্ত হয়। একসাথে দুই জায়গায় সমস্যা হতে পারে অথবা অনেক সময় আগে এক জায়গায় পরে অন্য জায়গাতে সমস্যা হয়। কিছু ক্ষেত্রে দুই জায়গায় পরিবর্তে এবং জায়গায় সমস্যা হয়।
ডেভিক্’স ডিজিজে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন:-
১। দেখতে সমস্যা হওয়া বা অন্ধত্ব। ২। দূর্বলতা
৩। প্রস্রাব পায়খানায় সমস্যা হওয়া। ৪। মাসংপেশী শক্ত হয়ে যাওয়া
৫। আসাড়তা ইত্যাদি।
ডেভিক্’স ডিজিজ ডায়াগনসিসের জন্য নিউরোলজিস্ট ভালভাবে ইতিহাস নিয়ে থাকেন। তারপর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। সে থেকে এ ধারণা পাওয়া যায়। এমআরআই করলে অনেকটাই বোঝা যায়। তবে মাল্টিপল স্কে¬রোসিস অসুখের সাথে মিল আছে বলে অভিজ্ঞ রেডিওলজিস্ট এর দরকার হয় ডায়াগনসিসের জন্য। সিত্রসএফ স্টাডি করা হয়। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেও ডেভিক’স ডিজিজ ডায়াগনসিস করা যায়।
ডেভিক’স ডিজিজ বিরল রোগে। এখনো অসুখটি নিয়ে গবেষণা চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে শিরায় স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। পরবর্তীতে মুখে স্টেরয়েড দেয়া হয়। স্টেরয়েড এ কাজ না হলে প্লাজমাফেরেসিস করা হয়। দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় এজাথায়োপ্রিম, মিটোজেন্ট্রন, রিটুক্সিম্যাব ব্যবহার করা হয়।
ডা. মো. ফজলুল কবির পাভেল
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
মোবাইল: ০১৭১২৮৩৬৯৮৯।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন