সরকার এর আগে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এক হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। সে প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল, নদীর নিচে যে বর্জ্য জমা হয়েছে তার দুই ফুট পর্যন্ত তুলে ফেলে নদীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। তখন কিছু দিন বুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং করতেও দেখা গেছে। জানা গেছে, বুড়িগঙ্গায় পানির নিচে পলিথিনের ১৪ ফুট স্তর জমা হয়েছে। সেখানে দুই ফুট ড্রেজিং করলে কি ফলদায়ক হবে, তা কারও বোধগম্য নয়। এ ছাড়াও ঢাকার আশপাশে চারটি নদী রয়েছে। সে নদী এখন দূষণ এবং দখলের মহামারী রূপ ধারণ করেছে। ঢাকার আশপাশের নদী হত্যায় নদীপাড়ের কলকারখানাগুলো দায়ী। তাদের টিপিআই চালু রাখার কথা থাকলেও তা শুধু দিনের বেলায় চালু রাখছে। রাত হলে নদীতে কলকারখানার বর্জ্য ফেলা হয় অবলীলায়। বুড়িগঙ্গার পানি শুকনা মৌসুমে কুচকুচে কালো আলকাতরার রঙ ধারণ করে। তাতে কোনো ধরনের মাছ বেঁচে থাকতে পারে না। নদী রক্ষায় হাইকোর্টের রায় আছে। নদীগুলোকে দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে স্রোত বইয়ে দেওয়ার নির্দেশ আছে। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে সীমানা পিলার নদীতে বসিয়ে দখলদারদের স্বার্থ রক্ষার কাজটিই অবলীলায় করেছেন নদী রক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা। তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে লাভ কী? এখনই এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
অলিউর রহমান ফিরোজ
রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন