শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ধারাবাহিক সাফল্য জনতা ব্যাংকের

প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

২০১৫ সালে পরিচালন মুনাফা ১ হাজার ৭২ কোটি ও নীট মুনাফা ৪৮১ কোটি টাকা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০১৫ সালের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী জনতা ব্যাংক লিমিটেড ১ হাজার ৭২ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পরিষদের সভায় ২০১৫ সালের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী অনুমোদিত হয়। বিবরণী অনুযায়ী ২০১৫ সালে জনতা ব্যাংক ১ হাজার ৭২ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা এবং ৪৮১ কোটি টাকা কর পরবর্তী নীট মুনাফা অর্জন করেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির মূলধন পর্যাপ্ততার হার ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ। সূত্র অনুযায়ী, জনতা ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি না থাকায় সরকারের কাছ থেকে পুনঃমূলধনীকরণের প্রয়োজন হবে না।
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামানের সভাপতিত্বে পরিচালনা পরিষদের সভায় ব্যাংকের পরিচালক মো. ইমদাদুল হক, এ কে এম কামরুল ইসলাম এফসিএ, মো. মাহাবুবুর রহমান হিরন, মানিক চন্দ্র দে, খন্দকার সাবেরা ইসলাম এবং মো. মোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সভায় ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জনতা ব্যাংক সূত্রে মতে, পরিচালন মুনাফা ছাড়াও ২০১৪ সালে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ২০১৫ সালে জনতা ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা এক হাজার ১৫১ কোটি টাকা অর্জন করে। যা ছিল ২০১৪ সালের চেয়ে ৮৩ কোটি টাকা বেশি।
২০১৫ সালের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকা সত্তে¡ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাংকের সাফল্যের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার কথা জানিয়েছেন ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা। ব্যাংক ১৩টি সূচকের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়ায় এই সাফল্য বলেও মত দেন তারা।
জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন এবং সে লক্ষ্যে কার্যকর পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরাও ২০১৫ সালের জন্য ১৩টি সূচকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণপূর্বক তা বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। আর এ জন্য প্রতিটি সূচক অর্জনের লক্ষ্যে পৃথকভাবে ব্যাংকের নির্বাহীদের দায়িত্ব দেয়া হয়। পাশাপাশি কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে সময় বেঁধে দেয়া হয়। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ কর্ম পরিকল্পনাও এবং কোয়ালিটি ঋণ প্রদান ও তা আদায়ে পৃথকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সার্বিকভাবে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ফলে জনতা ব্যাংকের এ সাফল্য এসেছে।
ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুস সালাম বলেন, বোর্ড অব ডিরেক্টরসের বলিষ্ঠ দিকনির্দেশনা অনুসরণ, ঋণ আদায়ে মাঠপর্যায়ে তদারকির মাত্রা বৃদ্ধি ও ভালো গ্রাহকদের দেখে ঋণ বিতরণ ও আদায়ের ফলে এ সাফল্য এসেছে। নিষ্ঠার সঙ্গে কর্মসম্পাদন, পরিকল্পনা তৈরি এবং তা বাস্তবায়নে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ায় জনতা ব্যাংক সাফল্য ধরে রেখেছে বলে তিনি মনে করেন। একই সঙ্গে বর্তমান সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সামনের দিকে আগানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আবদুস সালাম।
বর্তমানে জনতা ব্যাংকের ৯০৮টি শাখার মধ্যে ৫০৩টি শাখা অনলাইন সুবিধা চালু করা সম্ভব হয়েছে। এ বছরের মধ্যে ব্যাংকটির সবগুলো শাখায় অনলাইন সুবিধা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আর এ সুবিধা চালু হলে ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বল্প সুদের আমানত এবং উন্নত গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধিসহ লোকসানি শাখার সংখ্যা আরো কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন