শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ে দুই হাজার একর বনভূমি বেদখল : গড়ে উঠছে অবৈধ বসতি

প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এস.কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে : ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ের রাংটিয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দিনে দিনে বাড়ছে পাহাড়ের ঢালুতে অবৈধ বসতি। বেদখল হয়ে গেছে কমপক্ষে দুই হাজার একর সরকারী বনভূমি। স্থানীয় বন বিভাগের ছত্রছায়ায় দিনে দিনে এসব অবৈধ বসতি গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে সাবেক বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এই বিপুল পরিমাণ সরকারী সম্পত্তি বেহাত হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং গারো পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয় বলে জানা যায়। তবে এখনো বন ধ্বংস করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। একাধিক সংঘবদ্ধ কাঠ চোর সিন্ডিকেট সরকারী শাল-গজারি বাগান কেটে সাবাড় করছে বলেও জানা যায়।
জানা যায়, ওই সব অবৈধ দখলবাজদের দেখাদেখি গোটা গারো পাহাড়েই এখন গড়ে উঠেছে ঘনবসতি। এসব দখলবাজদের মধ্যে বনবিভাগের সৃজিত বাগানের অংশীদার, কাঠচোর পর্যন্ত রয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয় বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, দখল পক্রিয়ায় এ যাবৎ কমপক্ষে দুই হাজার একর জমি বে-দখল হয়ে গেছে।
কিন্তু বনবিভাগ বেহাত হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারে নামকাওয়াস্তে মামলা ঠুকে দিয়েই দায়িত্ব শেষ মনে করায় দিনকে দিন দখলের পরিমাণ বাড়ছে বনবিভাগের বিপুল পরিমাণ সরকারী সম্পত্তি।
অথচ এ ব্যাপরে নেই কোন প্রতিরোধ-প্রতিকার। রাংটিয়া রেঞ্জ অফিসের সন্নিকটে সৃজিত বাগানের অংশীদার কুখ্যাত ভূমিদস্যু ‘মানিক’ তৎকালীন রাংটিয়া বিট অফিসারের যোগসাজশে ওই সৃজিত বাগানেরই ৫-৭ একর সরকারী বাগান ধ্বংস করে দখলে নিয়ে রীতিমত বাড়ী-ঘর তৈরি করে রয়েছে বহাল তবিয়তে। অথচ বনবিভাগ উচ্ছেদের ব্যাপারে নেয়নি কোন কার্যকর ব্যবস্থা। ফলে তার দেখাদেখি আরো লোকজন বেদখল করেছে সরকারী বনভূমি। তৈরি করেছে অবৈধ বাড়ীঘর। বাড়ছে দখল প্রক্রিয়া।
এ ব্যাপারে রাংটিয়া রেঞ্জ অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বনবিভাগের এই বিপুল পরিমাণ জমি বেদখলের কথা স্বীকার করে বলেন, তার আমলে কোন বনভূমি জবর দখল হয়নি। সবই তার পূর্বের রেঞ্জ অফিসারদের আমলে হয়েছে। তবে ওইসব জবর দখলকৃত জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
বন বিভাগের বিপুল পরিমাণ সৃজিত বাগান ধ্বংস করে ওই সব জমিতে অবৈধ বসতি নির্মাণের কথা স্বীকার করে কুখ্যাত ভূমিদস্যু ‘মানিক’ বলেন, তার বাড়ী তৈরি করেছে ৩-৪ বছর আগে। এখানে শুধু সে একা নয়, বনবিভাগের জমিতে এই রকম শত শত বসতি রয়েছে অনেকেরই।
বিট অফিসারগণ বলেন, এ সব জমি তাদের আমলে বেদখল হয়নি। তবে বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দেয়া হয়েছে এবং উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া বনজ সম্পদ জবরদখল এবং মূল্যবান গাছ কেটে লুটের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বন বিভাগ এসব কুখ্যাত কাঠ চোর, ভূমিদস্যুদের পর্যন্ত সৃজিত বাগানের অংশীদার করায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন ?

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন