বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কাছে সরকার জিম্মি -সৈয়দ আবুল মকসুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৫৫ পিএম

বিশৃঙ্খল আচরণের পরও কোনরকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। গত শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সম্প্রতি পাশ হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের কিছু বিষয়ে ভুল বুঝিয়ে শ্রমিকদের ক্ষুব্ধ করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় কয়েকদিন আগে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা দুদিনের কর্মবিরতির সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ চালক ও যাত্রীদের শরীরে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেওয়া এবং মেয়েদের সাথে খারাপ আচরণ ছিল সবচেয়ে ঘৃণিত ও আপত্তিকর কাজ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার পরও এখন পর্যন্ত এই ঘৃণিত কাজের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দেখা যায়নি। সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি এতোটাই নমনীয় আচরণ প্রদর্শন করে যে এতে মনে হয় সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ফেডারেশনের কাছে একধরনের জিম্মি হয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক হতে হবে, আইন মানতে হবে। আইন না মানার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। পথচারীদের মাঝেও আমরা দেখছি কানে হেডফোন লাগিয়ে এবং মোবাইলে কথা বলতে বলতে অসতর্কভাবে রাস্তায় চলাচল করতে। এতে করে প্রতিবছর বহু সাধারণ মানুষ বিশেষ করে অনেক স্বপ্নময় তরুণের অকাল মৃত্যু ঘটছে। যা থেকে পরিত্রাণের জন্যে আইন পালনের পাশাপাশি সচেতনতাও তৈরি করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাবে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। ফলে দুর্ঘটনার কারণে বছরে মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ২ থেকে ৩ শতাংশ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতীয়ভাবে বাংলাদেশের নানা অর্জন থাকলেও সড়কের নিরাপত্তা বিধানে আমরা এখনও পিছিয়ে রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে করা আন্দোলনে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নতুন পথ দেখালেও আমরা এখনও সচেতন হয়নি। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন করা হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানান জনান কিরণ। তবে এই আইনের কিছু বিষয় নিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা যে ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হয়েছে তারও অবসান হওয়া প্রয়োজন।
প্রতিযোগিতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এতে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন, ড. তাজুল ইসলাম তুহিন এবং ফ্রীল্যান্স সাংবাদিক জাহিদ রহমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন