তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২২দিন কারাভোগের পর সোমবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তিপান। হাই কোর্টের অন্তবর্তীকালীন জামিনের কাগজপত্র কারাগার এসে পৌঁছার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, জামিনের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর তা যাচাই বাছাই করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় নওমী নামে একজনের সঙ্গে আমীর খসরুর কথিত ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যায়। ওই ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর গত ৪ আগস্ট তথ্য প্রযুক্তি আইনে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
এ মামলায় গত ২৭ আগস্ট হাই কোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যা পরে আপিল বিভাগও বহাল রাখে। এ আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। ২১ অক্টোবর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন আমীর খসরু। গত ৪ নভেম্বর তা মঞ্জুর করে তাকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন