ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম শীতকালীন সবজি মুলা চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার চাষিরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে অতিরিক্ত মুলা চাষ হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। তবে অন্য সবজি দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে দাম না থাকায় চাষিরা জমিতেই নষ্ট করে দিচ্ছেন মুলা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে এককভাবে মুলার চাষ হয়েছে অনেক বেশি। জেলার সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি, দানারহাট, বিমান বন্দর, গিলাবাড়ী, মরিচপাড়া এলাকায় মুলা চাষীরা বিক্রি করতে না পেরে জমিতে হাল দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছেন।
দানারহাট, বেগুনবাড়ি, গিলাবাড়িসহ বেশকিছু এলাকার স্থানীয় চাষিরা জানান, জমিতে ফলনও ভাল হয়েছে। প্রথমে দাম কিছুটা ভাল থাকলেও বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি মুলা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য জেলা থেকে ব্যবসায়িরা মুলা কেনার জন্য এসে বাছাই করা মুলার দাম ১ বস্তার (৬০ কেজি) বলছে ১শ টাকা।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে মুলার দাম রয়েছে। তারপরও মুলা বিক্রি করতে পারছেননা। এভাবে চলতে থাকলে চাষীরা টিকে থাকতে পারবেনা।
স্থানীয় সবচেয়ে বড় বাজার কালিবাড়ী বাজরের ব্যবসায়ী জয়নাল আলী, আব্দুর রৌফ, চন্দন সরকার জানান, কয়েক দিন আগেও মুলার দাম ভাল ছিল। অন্য জেলায় মুলার চাহিদা কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে কলিবাড়ি বাজারে ২-৩ টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি হচ্ছে। মুলার উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির ফলন ভাল হচ্ছে। একই সাথে সকল সবজি বাজারে আসায় মুলার দাম কম পাচ্ছেন চাষীরা। তবে চাষীরা যদি পরিকল্পনা করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সবজির চাষ করেন তারা লাভবান হতে পারেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন