একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনায় ভবন, দোকান, স্থাপনা ও যানবাহন থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি, পোস্টার, প্যানাসহ বিভিন্ন প্রচার সামগ্রী অপসারণে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দ্বিতীয় দফায় সময় বৃদ্ধির পরেও খুলনার বিভিন্ন স্থানে এসব প্রচার সামগ্রী রয়ে গেছে।
সোমবার সরেজমিনে খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টুটপাড়া, পূর্ব বানিয়া খামার, দোলখোলা, ধর্মসভা, থানার মোড়, নগর ভবন, পিকচার প্যালেস মোড়সহ অনেক এলাকাতেই প্যানা, পোস্টার, ফেস্টুন এখনো ঝুলছে।
পোস্টার অপসারণ সম্পর্কে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ হেলাল হোসেন বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সাহায্য নিয়ে খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ১১ জন ও জেলার নয়টি উপজেলায় নয়জনসহ মোট ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। অধিকাংশ প্রচার সামগ্রী অপসারণ করা হয়েছে, যদি কিছু থেকেও থাকে দ্রুতই সেসব অপসারণ করা হবে।’
এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেসব প্যানা অপসারণ হয়নি সিটি কর্পোরেশন স্ব-উদ্বোগে সেগুলো অপসারণ শুরু করেছে। পুলিশ যথাযথ সাহায্য করছে।’
অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করণের জন্য প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে লক্ষ্যেই খুলনা মহানগরীতে সব ধরণের পোস্টার, প্যানাসহ প্রচার সামগ্রী অপসারণ করছি। এরপরেও যদি কোনো প্রার্থীর প্রচার সামগ্রী থেকে থাকে, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
উল্লেখ্য, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রথম দফায় গত ১৪ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি, পোস্টার, প্যানা জাতীয় প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে অপসারণের নির্দেশনা দেয় কমিশন। এরপর ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় প্রচার সামগ্রী অপসারণের শেষ সময় নির্ধারিত হয় ১৮ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন