শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

বাংলাদেশি ব্লগারদের আশ্রয় দেয়ার আহ্ববান

প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশি ব্লগারদের নরডিক দেশগুলোতে আশ্রয় দেয়ার আহŸান জানিয়েছে নরডিক ও এস্তোনিয়ান পেন সেন্টার। মুক্তমনা বøগারদের ওপর সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রতিও আহŸান জানিয়েছে লেখকদের এ সংগঠন। গত ২৮ এপ্রিল পেন ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ আহŸান জানায় নরডিক ও এস্তোনিয়ান পেন সেন্টার।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আবারও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এক মাসের মধ্যে সেখানে চারজন মুক্তমনা ব্যক্তি বর্বরোচিত হত্যাকাÐের শিকার হয়েছেন। আমরা বাংলাদেশের মুক্তমনা মানুষদের সুরক্ষার পথ খুঁজে বের করতে ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনে আমাদের নিজ নিজ দেশের সরকারের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি। যারা একটি সংকটপূর্ণ দেশে আছেন তাদের জন্য আমাদের দেশগুলোতে আরও ‘নিরাপদ আশ্রয়’-এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা এবং ঢাকার সঙ্গে শক্তিশালী ক‚টনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার নরডিক দেশগুলোর প্রতি তাগিদ দিয়েছে লেখকদের এ সংগঠন।
সংগঠনটি বলছে, গত ২৫ এপ্রিল মার্কিন সহায়তা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট-ইউএসএআইডি’র কর্মী জুলহাস মান্নান ঢাকায় তার নিজ বাসায় খুন হন। হত্যাকাÐের শিকার হন ওই সময়ে তার বাসায় থাকা তার বন্ধু নাট্যকর্মী তনয় (২৬)। গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহীতে দুর্বৃত্তের চাপাতির আঘাতে খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী। চলতি বছরের ৭ এপ্রিল বর্বরোচিত হত্যাকাÐের শিকার হন নাজিমুদ্দিন সামাদ নামের আইনের এক শিক্ষার্থী। নিজের ফেসবুকে তিনি ইসলাম সম্পর্কে সমালোচনামূলক লেখালেখি করতেন।
২০১৫ সালে বাংলাদেশে পাঁচজন ধর্মনিরপেক্ষ বøগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, লেখক ও প্রকাশক খুন হন। খুনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ধর্মনিরপেক্ষ বøগ মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ও রয়েছেন। এসব বর্বরোচিত কর্মকাÐ একটা ভয়ানক বার্তা প্রদান করে। বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ মানুষদের জন্য নীরবতা, ভয় ও চরম বিপদের আবহ বিরাজমান। মুক্তমনা, ধর্মনিরপেক্ষ, ধর্মীয় ও লৈঙ্গিক সংখ্যালঘু গ্রæপগুলোর বিরুদ্ধে ইসলামী মৌলবাদীদের সা¤প্রতিক প্রবণতা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ; যাদের একটি সমন্বিত জাতীয় পরিচয় রয়েছে এবং সহনশীলতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তাদের জন্য এটা অপ্রত্যাশিত।
পেন সেন্টারের য়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সাল থেকে দুইজন সামরিক শাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্মীয় রূপান্তর ঘটতে থাকে। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। কিন্তু গণতান্ত্রিক নেতারা ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা ও মৈত্রীতে আবদ্ধ হন। নির্বাচনি রাজনীতির অংশ হিসেবেই তারা এ যোগাযোগ রক্ষা করেন। এর ফলে ইসলামপন্থী লোকজন গণতান্ত্রিক নীতিকে বিচ্যুত করতে সক্ষম হয়েছেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন