শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

পর্যটনবর্ষ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রুজশিপ প্রবেশ করবে বাংলাদেশে

প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : পর্যটনবর্ষ উপলক্ষে আগামী বছরের ফেব্রæয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রুজশিপ ‘সিলভার সি ক্রুজ’ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
গতকাল (সোমবার) বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপির সভাপতিত্বে এক বৈঠকে ক্রুজশিপটির বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌসীমায় প্রবেশ এবং বহির্গমনের ক্ষেত্রে পর্যটকদের অন এরাইভাল ভিসা, অন বোর্ড ইমগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস কার্যক্রম সম্পাদন এবং এ উদ্যোগকে সফল করতে সরকারি ও বেসরকারি স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আগামী ১১ ফেব্রæয়ারি, ২০১৭ তারিখে ক্রুজশিপটি শ্রীলঙ্কার কলম্বো থেকে রওনা হয়ে ২১ ফেব্রæয়ারি, ২০১৭ আন্দামান হয়ে চট্টগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশের নৌসীমায় প্রবেশ করবে। এর রুট হবে কলম্বো-চট্টগ্রাম-কলকাতা এবং কলকাতা-ঢাকা-ফুকেট। শিপটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কয়েকটি পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান চট্টগ্রাম, বাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা, মহেশখালী ও সুন্দরবন ভ্রমণ করবে।
ক্রুজশিপে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের ১০০ জন অতিথি থাকবেন। এটি ২৫ ফেব্রæয়ারি সুন্দরবন ভ্রমণ শেষে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবে। একইভাবে শিপটি অপর একটি গ্রæপ নিয়ে ২৭ ফেব্রæয়ারি কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে ১ মার্চ ২০১৭ তারিখে সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান ভ্রমণ শেষে জাহাজটি ৫ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে ফুকেটের উদ্দেশে রওনা হবে। ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান জার্নি প্লাসের সহায়তায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বৈঠক শেষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি সাংবাদিকদের বলেন, পর্যটনবর্ষ-২০১৬ উপলক্ষে ‘ভিজিট বাংলাদেশ’ প্রোগ্রামকে সফল করতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে সমুদ্র ও নৌ যোগাযোগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, এটি বাংলাদেশে আসতে পর্যটকদের উৎসাহী করবে। তিনি ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অত্যন্ত যতেœর সাথে দায়িত্ব পালনের এবং অতিথিদের আন্তরিক স্বাগত জানিয়ে হাসিমুখে বরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহŸান জানান।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল খালেদ ইকবাল, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজউদ্দীন আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফিকুজ্জামান, স্বপন কুমার সরকার, বিটিবির সিইও আখতারুজজামান খান কবির, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম জাকিউর রহমান ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন