পটিয়ায় গৃহবধু চুমকি হত্যার ৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে মামলা নিয়েছে পটিয়া থানা পুলিশ। গত ১৪ নভেম্বর স্বামী, শাশুড়ি, ননদসহ পরিবারের ৬/৭ জন চুমকিকে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ড আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য চুমকি শ্বশুড়বাড়ির লোকজন চুমকির গলায় ওড়না পেছিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ চুমকির লাশ উদ্ধার করে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে।
পরদিন চুমকির লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। চুমকি হত্যার অভিযোগ এনে পিতা গোলাম মোস্তফা পটিয়া থানার ওসি নেয়ামত উল্লাহকে মামলা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানালেও ওসি মামলা না নেয়ায় চুমকির বাবা বাদী হয়ে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহ উক্ত অভিযোগ এফ আই আর হিসেবে গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত রোববার নির্দেশ দেয়। পটিয়া থানা পুলিশ এ নির্দেশ পেয়ে গতকাল (সোমবার) ফৌজদারী অভিযোগটি এফ আই আর হিসেবে নিয়ে নিয়মিত মামলা রুজু করেন।
মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা জানান, তার মেয়ে চুমকির সাথে পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা বিনিনিহারা গ্রামের জাফর আহমদের পুত্র খোরশেদ আলমের সহিত বিগত ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। অবশেষে তাকে যৌতুকের কারণে পিটিয়ে হত্যা করে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন