শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বাংলাদেশীদের বৈধতা লাভের সুযোগ ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

শামসুল ইসলাম : | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

তেল সমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধ বাংলাদেশীরা আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধতা লাভের সুযোগ পাচ্ছেন। দেশটিতে বিপুল সংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশী কর্মীও পালিয়ে কাজ করছেন। এর আগে দেশটির সরকার গত ১ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। বিভিন্ন মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আমিরাত সরকার আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা বর্ধিত করেছে। এ ঘোষণায় আমিরাতে কর্মরত অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গতকাল সোমবার দুবাইস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর এএসএম জাকির হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমিরাতে বর্তমানে ৬ লক্ষাধিক বাংলাদেশী কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। 

সাধারণ ক্ষমার আওতায় ১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্পন্সর খুঁজে বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে আমিরাত সরকার। আরব আমিরাতে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা জানান, এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আরো কিছু নতুন সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে ধাপে ধাপে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিসা খোলা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনেরও সুযোগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দূতাবাসের কাউন্সিলর জাকির হোসেন বলেন, সাধারণ ক্ষমায় হাজার হাজার অবৈধ প্রবাসী বৈধ হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেসব অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি আমিরাতে রয়েছেন তাদের কোনো ধরনের ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র না থাকলেও তাদেরকে ডিজিটাল পাসপোর্ট বা এমআরপি বানানোর সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। তিনি অবৈধ অভিবাসীদের দূতাবাসে আসার আহবান জানান। এ যাবত কি পরিমাণ অবৈধ বাংলাদেশী বৈধতা লাভের সুযোগ পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর জাকির হোসেন বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বরের পরে উল্লেখিত পরিসংখ্যান জানা যাবে। দেশটিতে প্রচুর বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে, বেসরকারি খাতে শ্রমিক নিয়োগে নতুন বীমা আইন চালু করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত মাস থেকে নতুন এ আইন কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে আমিরাতের মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী নাসের আল হামলি বলেছেন, নতুন এই আইন শ্রমিকদের অধিকার ও বেতনের সুরক্ষা দেবে। শ্রমিক নিয়োগ খরচ কমিয়ে কোম্পানিগুলোর ওপর থেকেও চাপ কমাবে এ আইন। নতুন আইন অনুযায়ী, আমিরাতের বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বীমা প্রকল্পের আওতায় শ্রমিক মাথাপিছু মাত্র ৬০ দিরহাম জমা দিতে হবে। দেশটিতে ব্যবসার খরচ কমিয়ে আনাও নতুন এ বীমা আইনের লক্ষ্য। অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানায়, অক্টোবরের মাঝ সময় থেকে স্বল্প খরচের বীমা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে। দেশটির এ মন্ত্রণালয় বলেছে, কর্মচারীদের বীমা ইস্যু কার্যক্রম ১৫ অক্টোবর শুরু হবে। খালিজ টাইমস সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ সাড়ে চার বছর যাবত জনশক্তি রফতানির দ্বিতীয় বৃহৎ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী পুরুষ কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। বহু আলোচনার পর গত এপ্রিল মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯ টি ক্যাটাগরির কর্মী নিয়োগের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. নমিতা হালদার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্সেস এন্ড এমিরেটাইজেশন-এর আন্ডার সেক্রেটারী সাইফ আহমেদ আল সুআইদি স্ব স্ব দেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করেন। কিন্ত দেশটিতে এখনো ব্যাপক হারে কর্মী যাওয়া শুরু হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন