টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামী আমানুর রহমান খান রানা এমপির উপস্থিতিতে ৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে ১১জনের সাক্ষী গ্রহণ সমাপ্ত হলো। মালার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ৩১ জানুয়ায়ী।
বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার আসামী আমানুর রহমান খান রানা এমপিকে ১০টা ৪৫ মিনিটে টাঙ্গাইল বিচারিক আদালতে আনা হয়। পরে ১১টা ১৫ মিনিটে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার সাক্ষী খালেকুজ্জামান, সুরুজ্জামান ও মির্জা রানা সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য হাজিরা প্রদান করে এবং তাদের সাক্ষ্য শেষ করে। পরে মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবীরা দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে এই তিনজন সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত করে। পরে বিচারক আগামী ৩১ জানুয়ায়ী এই মামলার অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। এই তিন স্বাক্ষীসহ আদালতে মোট ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হলো। এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাদির সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামী রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। বিগত দুই বছর যাবত এই মামলার আাসামী আমানুর রহমান খান রানা এমপি কাশিমপুর কারাগারে আটক রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন