স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় (৫০) এক নারী ও মেহেদি হাসান (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে মতিঝিলের দিলকুশায় নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদ থেকে পড়ে স্বপন শেখ (১৮) ও আবদুল হালিম (৩০) নামে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
স্বপনের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার শাগহাটার কুচুয়া গ্রামে। তাঁর পিতার নাম আমিরুল শেখ। হালিমের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে। তাঁর বাবার নাম ফজলু মিয়া। দুই শ্রমিকের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গতকাল এসব ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কমলাপুরের কবি জসিমউদ্দিন রোড মোড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস অজ্ঞাতপরিচয় (৫০) এক নারীকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়। লাশটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় রোববার সকালে রিকশা চাপায় আহত শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। মেহেদি শ্যামপুর বউবাজার এলাকার মৃত. মো. রফিকের ছেলে। তবে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মেহেদি হাসান (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু অভিযোগ করেছে স্বজনরা।
শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়লান আবেদিন জানান, সকালে বউবাজার এলাকায় রিকশার নিচে চাপা পড়ে মেহেদি। এ সময় স্থানীয়রা জুরাইনের সাউথইস্ট মডেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়।স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে শিশুটিকে সেলাই দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। স্বজনরা ও এলাকাবাসী ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে হাসপাতালে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, ৪০ দিলকুশার একটি নির্মাণাধীন ভবনে রড ওঠানোর কাজ করার সময় দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ইলেকট্রিক শক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিকদের একজন চারতলা ও একজন দোতলায় কাজ করছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন