স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২০২১ সালের মধ্যে রাজধানীতে প্রতিদিন ১৪০ কোটি লিটার ভূগর্ভস্থ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে উত্তোলিত ভূগর্ভস্থ পানির শতকরা ১০ শতাংশ খাবার পানির জন্য উত্তোলন করা হয়। বাকি মূল অংশ কৃষি খাতে ব্যবহৃত হয়। তাই পানিস্তর ধরে রাখার জন্য আমার মন্ত্রণালয় ছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমান সরকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূউপরিস্থিত পানি ব্যবহারের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি জানান, এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট, বরিশাল মহানগরীসহ গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, বান্দরবান, নরসিংদী জেলায় ইতোমধ্যে ভূউপরিস্থ পানির সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপদ পানির চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
খন্দকার মোশাররফ জানান, ভূউপরিস্থিত খাবার পানির উৎস সৃষ্টির লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তারাধীন ‘ভিলেজ ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০০টি নতুন পুকুর খনন করে ৩৬০টি পিএসএফের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা করা হবে এবং ১৪৩টি পুকুর পুনঃখনন করা হবে। বর্তমান সরকার ভূউপরিস্থিত পানি সরবরাহ, ব্যবহার ও সংরক্ষণ নিশ্চিতকল্পে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসা দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছে। ঢাকা ওয়াসা ভূগর্ভস্থ উৎসের পরিবর্তে ক্রমেই ভূউপরিস্থিত উৎস হতে পানি সংগ্রহের লক্ষ্যে পদ্মা নদী থেকে পানি এনে পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প-১ এবং মেঘনা নদীর পানি এনে গান্ধর্বপুর পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন