সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াসহ অসংখ্য সংসদ সদস্য দন্ড নিয়ে কীভাবে নির্বাচন করেছেন এবং করছেন এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ.জেড.এম.জাহিদ হোসেন।
বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি কেউ দন্ডপ্রাপ্ত হলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না হাইকার্টের এমন আদেশ আপিল বিভাগেও বহাল থাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজকে আমি আপিল করেছিলাম।
বিচারক নো অর্ডার লিখেছেন। আমরা আদেশ পেলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আইনের মধ্যেই নির্বাচন করার সুযোগ পাবো। গতকাল বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব ও ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. জাহিদ বলেন, আমি বা অন্য কেউ প্রার্থী সেটি কোন বিষয় না। বিষয় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মূলত খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদার মুক্তির আন্দোলন ত্বরান্বিত করতেই আমাদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ। ডা. জাহিদ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদও একই স্থানে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি নিজেও ডা. জাহিদের সঙ্গে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিলেন এমন থিউরিতে বিশ্বাস করেন ডা. জাহিদ ও ওয়াহাব আকন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন