চট্টগ্রাম ব্যুরো : অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুল আলম ও তার স্ত্রী শামীমা রোজী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, চিকিৎসক দম্পতি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় আইনজীবীর জিম্মায় দুই চিকিৎসক জামিন পেয়েছেন। জামিন আদেশ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
গত ১৯ জানুয়ারি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছোট ভাই খাইরুল বশর বাদি হয়ে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ জানুয়ারি ডা. মাহবুবুল আলম ও ডা. শামীমা রোজীর তত্ত¡াবধানে বাদির মেয়ে মেহেরুন্নেছা নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন সকালে অপারেশনের মাধ্যমে তার মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে পুনরায় অপারেশনের কথা জানান ডাক্তার দম্পতি। ১২ ব্যাগ রক্তের কথা হলেও ১৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। কিন্তু ওইদিন বিকেলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেহেরুন্নেছার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ওইদিন সার্জিস্কোপ হাসপাতালে ভাঙচুর করে তার স্বজনরা। প্রসঙ্গত ওই ২জনসহ ৩ ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে টানা ৫ দিন নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে লাগাতার ধর্মঘট পালন করে বিএমএ। সোমবার অপর চিকিৎসকও আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন