লক্ষীপুর-২ আসনে প্রার্থী নিয়ে উভয় দলে ক্ষোভ। এ নিয়ে মহাজোটের একক প্রার্থী ও বর্তমান এমপি নোমান বিপাকে পড়েছেন। জোটের নেতাকর্মীদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের বক্তব্য আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তাদের মাঝে এ ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী থাকলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয় থাকাই তার প্রমাণ মিলে। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী বলেন, আমরা ভোট করবো কিনা এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেইনি তবে মহাজোট প্রার্থীর ভোট করবো কিনা তা চিন্তা ভাবনার সময় এখনো আসেনি। অবশ্য দলের একটি সূত্র জানায়, এনিয়ে আমরা অচিরেই বৈঠক করবো।
এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের মাঝেও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এখানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা কর্ণেল (অব.) আব্দুল মজিদ মনোনয়ন না পাওয়ায় তার অনুসারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
এনিয়ে সাবেক রায়পুর কেরোয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন ও এনামুল হক জানান, আমরা কর্ণেল (অব.) মজিদের অনুসারী বিধায় আমরা এখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি। অপরদিকে, সাবেক রায়পুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও রায়পুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নজরুল ইসলাম লিটন স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের পক্ষে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। এনিয়ে বর্তমান পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ.বি.এম জ্বিলানী জানান, মজিদ সাহেবের অনুসারী হলেও যেহেতু তারা বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত সেহেতু তারা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর পক্ষেই ভোট করবেন বলে আশা রাখি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন