একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীতা আপিলের শুনানি শুরু হয় বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায়। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ শুনানি শুরু করে নির্বাচন কমিশন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল হুদার আবেদনের শুনানির মাধ্যমে কমিশন এ কার্যক্রম শুরু করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা শুনানি করেন। শুনানির প্রথম দিনে বেশ কয়েকজন প্রার্থিতা ফিরে পান। তাদের বেশিরভাগই ধানের শীষের প্রার্থী। যার মধ্যে রয়েছে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের বিএনপির প্রার্থী সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, ব্যারিস্টার আমিনুল হক। ১৪১ নম্বর সিরিয়ালে তার শুনানি হয়। শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। রাজশাহী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ১২ জন। যাচাই-বাছাই শেষে এদের মধ্যে ব্যারিস্টার আমিনুলসহ আটজনের প্রার্থীতা বাতিল করে রিটানিং অফিসার। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে ব্যারিস্টার আমিনুল হক। এ আসেন এখন প্রার্থী থাকলেন পাঁচজন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী, বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল হক, তার স্ত্রী আভা হক, ওয়ার্কাস পার্টিও রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল ও ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল মান্নান। নির্বাচনী এলাকার মানুষ বলছেন মূল প্রতিদ্বিন্দ্বীতা হবে দুই হেবীওয়েট ১০ বছরের এমপি, প্রতিমন্ত্রী, রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর ও ১৫ বছরের এমপি, মন্ত্রী, ্িবএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মো: আমিনুল হকের মধ্যে। অর্থাৎ নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে। এ ভোটের লড়াই দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন