চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল থেকে খালেদা জিয়ার নামফলক তুলে ফেলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সকালে স্মারকলিপি দেয় ছাত্রদল। এর জেরে দুপুরে ছাত্রদলের এক নেতাকে মারধর করে ওই স্মারকলিপি প্রত্যাহার করানো এবং ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন কথা বলতে বাধ্য করিয়ে ভিডিও করেছে বলে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ছাত্রদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক তালিমুল ইসলাম সায়েমকে মারধর করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল দশটার দিকে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রক্টর অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করে। এ বিষয়ে ছাত্রদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক তালিমুল ইসলাম সায়েম বলেন, দুপুরে পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে ঝুপড়িতে আসি। এ সময় ছাত্রলীগের ২০ থেকে ৩০ জন নেতাকর্মী এসে কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে মারধর করে। পাশাপাশি ফেসবুক লাইভে আমাকে দিয়ে জোর করে উল্টা পাল্টা বক্তব্য দিতে বাধ্য করে।
বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সায়েমকে বেধড়ক মারধর করে করে স্মারকলিপি প্রত্যাহার এবং তাকে ফেসবুক লাইভে বিভিন্ন কথা বলতে বাধ্য করেছে। মারধরের পরে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার সময় সে আমাকে ফোন দিয়ে এ কথা বলেছে। তার ফেসবুকের পাসওয়ার্ডও ছাত্রলীগনেতা কর্মীরা নিয়ে নিয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন টিপু ইনকিলাবকে বলেন, ছাত্রদল ক্যাম্পাসে একটা বড় ধরণের হামলার পরিকল্পনা করেছিল আমরা সায়েমের মোবাইল ফোনে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। সে ওই স্মারকলিপি প্রত্যাহার করেছে এবং সে আর কখনও ছাত্রদল করবে না বলে ফেসবুকে স্বীকার উক্তি দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন