রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা গ্রামে মো. আহমদ ছাফা (৩৩) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে তার লাশ কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মো. এয়াকুব আলী নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আহমদ ছাফার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন-পূর্বক খুনীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল বুধবার দুপুরে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
নিহতের পিতা আব্দুল মতিন জানান, ইউপি সদস্য এয়াকুব আলী গত রোববার রাতে তার ছেলে আহমদ ছাফাকে জরুরি কাজ আছে বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তার পরের দিন সোমবার সকাল পর্যন্ত আহমদ ছাফা বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা স্থানীয়ভাবে খোঁজাখুঁজির করে। আহমদ ছাফা পরিবার এয়াকুব আলী মেম্বারকে সে না আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, তাকে আমি বিশেষ প্রয়োজনে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগানে পাঠিয়েছিলাম। এরপর থেকে তার সাথে আমার আর কোন যোগাযোগ নেই।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, রোববার রাতে আহমদ ছাফাসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে কোদালা জেলেপাড়ায় মদ পান করে। নেশাগ্রস্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে দস্তাদস্তি একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত আহমদ ছাফা কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গুনিয়া গোডাউনঘাট পাম্প হাউস কর্ণফুলী নদী থেকে আহমদ ছাফার লাশ উদ্ধার করে। সহস্যজনক মৃত্যুতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে রাঙ্গুনিয়া পোস্ট অফিস এলাকায় দুপুরে প্রায় একঘণ্টা মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে স্থানীয় ইউপি সদস্য এয়াকুব আলীকে আটক করা হয়েছে। কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন